মোঃ রিয়াজ উদ্দীনঃ- সামাজিক সংগঠন ”নাগরিক সমাজ” খুলনা এর উদ্যোগে বিদ্যুতের অযৌক্তিক মিটার রেন্ট ও ডিম্যান্ড চার্জ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।গতকাল শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১১টায় খুলনা নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন খুলনায় বসবাসরত সর্বস্তরের ভুক্তভোগী জনগণ।
মানববন্ধনে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন,খুলনা নাগরিক সমাজসহ অন্যান্যদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংবাদ সম্মেলন করে অন্যান্য প্রতিশ্রুতির সাথে ঘোষণা করেছিলেন যে, মিটারের মূল্য সমন্বয় হওয়ার পর আর কোনো মিটার ভাড়া নেওয়া হবে না। মিটার স্থাপনের সময় আবাসিক মিটারের ক্রয়মূল্য ছিল ৩,২০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক মিটারের মূল্য ছিল ১৪,০০০ টাকার মতো। অথচ, গত ৮ বছর যাবত উপরিল্লিখিত হারে মিটার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, যা ক্রয়মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার একদিকে গ্রাহকের ব্যবহৃত বিদ্যুতের ওপর ভ্যাট গ্রহণ করছে, যা সংবিধিবদ্ধ। অন্যদিকে বিদ্যুতের চার্জ বাবদ মোট চার্জ হিসেবে অর্থ নেওয়ার পরও ডিম্যান্ড চার্জের নামে একটি বিশাল অংকের টাকা গ্রহণ করছে সংস্থাটি। যে বিষয়টি বোধগম্য বা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ইতিপূর্বে ওজোপাডিকোর প্রতি মিটার ভাড়া এবং ডিম্যান্ড চার্জ প্রত্যাহার, প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সময় খুলে নেওয়া এনালগ মিটারের জামানত/মূল্য ফেরৎ সমন্বয় করার আহ্বান জানানো সাংবাদিক সম্মেলনের পরও কোন তাদের তেমন কোন সিদ্ধান্ত নজরে পড়েনি। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে গ্রাহকদের সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করছি। সর্বশেষ তিনি খুলনা নাগরিক সমাজ এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনতিবিলম্বে অযৌক্তিক মিটার রেন্ট এবং ডিমান্ড চার্জ প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্যে নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আঃ.ফ.ম মহসিন বলেন, আজকে যে প্রিপেইড মিটার এই প্রিপেইড মিটার সেটা থাকার কথা নয়। এটা বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে খুলনার একটি অজ্ঞাত স্থানেও তৈরি হচ্ছে। সেগুলো বিস্তৃত হচ্ছে খুলনা সহ সারা বাংলাদেশে। এগুলো যখন আমদানি করা হয়েছে তখন পালাতক প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এখান থেকে কয়েকশ’কোটি টাকা চুরি করেছে। তার বিনিময়ে অবৈধ চার্জ মিটার আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আজকে জনগণ এ বিষয়ে কিছুই জানে না। মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে এস এম চান্দন, নিতাই পাল, অধ্যাপক সঞ্জয় সাহা, মোঃ হাবিবুর রহমান, দেলোয়ার উদ্দিন, মোঃ নাসির,এস এম এ রহিম, মিজানুর রহমান বাবু,এ্যাড.মেহেদী হাসান, এস এম মনিরুজ্জামান, খ,ম শাহীন, গোলাম রব্বানী, শেখ মহিদুল ইসলাম,এম এ কাশেম, সাইফুল মিনা,মিলন বিশ্বাস, এ্যাড.মাকতুন, শাহ অহিদুজ্জামান, মোসলেম উদ্দিন তুহিন, এ্যাড.মিজানুর রহমান, আব্দুস সালাম শিমুল,কবি নাজমুল তারেক তুষার, মাহবুবুর রহমান মুন্না, মল্লিক আরাফাত হোসেন, আয়কর আইনজীবী এম হানিফ হোসেন,কাজী কামরুল ইসলাম,এস এম নাজমুল হাসান, মোঃ চুন্নু খন্দকার সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply