বিশেষ প্রতিনিধি:
হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ ” অর্থ হল:
হঠাৎ অসুস্থ হওয়া , হঠাৎ বড় হওয়া, হঠাৎ বড়লোক হওয়া ও হঠাৎ বড় মনে করা। বলছি হঠাৎ বড়লোক হওয়া নোয়াখালীর ছেলে শাহাবুদ্দিনের কথা সংক্ষিপ্ত আকারে। শাহাবুদ্দিনের জন্ম নোয়াখালী জেলায় নিম্ন আয়ের সংসারে । তার বাবা স্বল্প আয়ে কোন মত সংসার চালাতেন। পরিবারের জীবনমান নিম্নতর হওয়ায় সে কষ্ট মেনে নিতে না পেরে শাহাবুদ্দিন চলে আসেন রাজধানী ঢাকার শহরে। জানা যায় ঢাকায় এসে শাহাবুদ্দিন হেলপার হিসেবে দৈনিক কর্মজীবীদের সাথে কাজ করতেন। কাজের উপার্জনের অল্প টাকায় শাহাবুদ্দিনের নিজের থাকা খাওয়া কোনমতে চলে যেত। এতে পরিবারের জন্য কিছু করার উপায় ছিলনা তাহার । ফলে শাহাবুদ্দিনের মাথায় ঢুকতে থাকে অনৈতিক চিন্তাভাবনা। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি শাহাবুদ্দিনের পরিচয় হয় আওয়ামী লীগ পরিচয়দানকারী এক মাদক সম্রাট ব্যক্তির সাথে। তাই কপাল খুলে যায় গরিবের ঘরে জন্ম নেয়া শাহাবুদ্দিনের। পরবর্তী শাহাবুদ্দিন তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে যাওয়া আসা করেন এক অভিন্ন মুডে । তার রাজকীয় চলাফেরা গ্রামের মানুষ সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে তাকে। হঠাৎ করে কিভাবে শাহাবুদ্দিন আঙ্গুল ফুলের কলা গাছের গল্প হল তা জানতে পিছু নেয় গ্রামের এক চৌকস যুবক, কিন্তু তিনি তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন তার বড় হওয়া অবৈধ সম্পদের কথা। কয়েক বছর পূর্বে নিম্নবিত্ত আয়ের সংসারের জন্ম নেয়া শাহাবুদ্দিন আজ ঢাকা শহর বাংলা মোটরে কোটি টাকার ভাই ভাই নামে টাইলস দোকানের মালিক। মোহাম্মদপুরের রয়েছে ১টি ১০ তলা ভবন যার মূল্য কোটি কোটি টাকা এবং হাতিরপোলে রয়েছে ৮ তালার একটি ফ্লাট বাড়ি। তাহার স্ত্রী মিতুর নামে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে রয়েছে ৩ কোটি টাকার ক্রয়কৃত জমি। তাছাড়া শাহাবুদ্দিনের আরো রয়েছে নামে বেনামে অবৈধ সম্পদ ও ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা। জনমনে প্রশ্ন এত অল্প সময়ে শাহাবুদ্দিন কিভাবে অনেক বৃত্তশালী হয়েছেন? পরিবার নিয়ে একাধিকবার হজ করা শাহাবুদ্দিনের মুখোশের আড়ালে রয়েছে আরেকটি অনৈতিক মুখোশ।
Leave a Reply