নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকারী সম্পত্তি বিক্রি করে বেহাতে দূর্ণীতির শীর্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ড – ঢাকা নবাব এস্টেটের তিন কর্মকর্তা”- শিরোনামে একাধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, তারা নাকি অনেক ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে দৈনিক ঘোষণা পত্রিকায় উপযুক্ত প্রমাণসহ তথ্য সমৃদ্ধ “দূর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন ভূমি সংস্কার বোর্ডের তিন কর্মকর্তা” শিরোনামে একটা সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত সংবাদের সকল তথ্য প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
অথচ নবাব এস্টেটের সহ কারী ম্যানেজার সম্পত্তি আরাফাত হোসেন সহ এই তিন কর্মকর্তা টাকার বিনিময়ে দৈনিক ঘোষনা পত্রিকায় প্রতিবাদ বা আপত্তি না জানিয়ে কিছু নাম সর্বস্ব পত্রিকায় সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রতিবাদ প্রকাশ করায়। প্রকাশিত প্রতিবাদের বিজ্ঞপ্তির
বক্তব্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক, মিথ্যা ও মনগড়া। এখানে দৈনিক ঘোষনা পত্রিকার প্রতিবেদকের কোন বক্তব্য গ্রহন করা হয়নি। প্রকাশিত মিথ্যা বিজ্ঞপ্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে দৈনিক ঘোষনা পরিবার।
শত শত অভিযোগের পরও দূর্ণীতিবাজ এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় নিজেদের দোষ ধামাচাপায় চালিয়ে যাচ্ছেন নানা ধরনের অপচেষ্টা।
গত (১৬ সেপ্টেম্বর ) একটি ভূঁইফোড় পত্রিকায় প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া প্রতিবেকের বক্তব্যটি সম্পর্কে দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার প্রতিবেদক কিছুই জানেন না।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের কর্মকর্তাদের দূর্ণীতিতে সাধারণ লীজিদের বেহাল দশা। এই যেন এক পরিকল্পিত নকশা!
ভূমি সংস্কার বোর্ডের তিন কর্মকর্তার সাজানো নীল নকশায় চলছে নবাব এস্টেট তথা সরকারি জমি বিক্রি ও লীজের নামে ডিসিআর বাণিজ্য।
অভিযোগ রয়েছে সরকারি জমি বিক্রি করার জন্য বৈধ লীজি সদস্যদের বাদ দিয়ে দখলবাজ ভূমিদস্যুদের দিয়ে ৫ শতাংশের প্লট করে প্রতি প্লট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি বানিজ্য করছে নবাব এস্টেটের এই তিন কর্মকর্তা।
বেহাত করা হচ্ছে সরকারী সম্পত্তি। তাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ভূমিদস্যু জনৈক আইয়ূব আলী শিকদার ও আঃ সালাম গং এর নেতৃত্বে বিপুল টাকার সরকারী লীজিদের গাছ নিধন ও বিক্রির মহোৎসব চলছে।
ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের সময় শেখ হাসিনার চাচা শেখ নাজিউর রহমান নিপু ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের চাচাতো ভাই মিল্কভিটা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সারোয়ার আলমের পরিচয়ে আর ৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আত্মীয় পরিচয়ে সাধারণ লীজিদের অর্থ সম্পদ নষ্টকারী বহুমূখী প্রতারক আইয়ূব আলী শিকদার হচ্ছে নবাব এস্টেটের দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের অন্যতম দোসর ও দূর্ণীতির হাতিয়ার।
অনুসন্ধানকালীন আমাদের হাতে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, জানা যায় ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সময় সমিতির বহিষ্কৃত আইয়ুব আলী সিকদার কে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাজিয়ে আউকপাড়ার সরকারী জমি ও গাছ গুলো বিক্রি করছেন নবাব এস্টেটের ম্যানাজার
মোহাম্মদ হোসেন, সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার সাব্বির হোসেন, সহকারী ম্যানেজার সম্পত্তি আরাফাত হোসেন গং
কর্তৃপক্ষ আইয়ুব আলী সিকদারসহ দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের বুঝ দেয়া হলেও উল্টো প্রতারক আইয়ুব আলী সিকদার গংদের সাথে প্রায় প্রতিদিনই চলে নবাব এস্টেটের কর্মকর্তাদের গোপন মিটিং।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবাব এস্টেটের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী বলেন, আইয়ুব আলী সিকদারের যেকোন নথিপত্র জমা দেওয়ার সাথে সাথেই পাশ হয়ে যায়। অথচ ভুক্তভোগী কিংবা লীজি ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বৈধ সভাপতি বা সদস্যদের দেওয়া হয় না নবাব এস্টেটে প্রবেশ কিংবা লীজমানি পরিশোধের অধিকার। বৈধ নথি কে দেওয়া হয় না প্রাধান্য। সরকারী জমি বিক্রি ও ডিসিআর বানিজ্যের বিচার প্রার্থী জনৈক জাহাঙ্গীর হোসেন অপু গত ইং ১০/০৯/২০২৪ তারিখে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর একটি দরখাস্ত জমা দিলেও পত্রটি নবাব এস্টেটে এসে হয়ে যায় নথিজাত। মোটা অংকের টাকায় ২০১৬ সনে মৃত ব্যাক্তিও ২০২০ সালে পায় সরকারী জমি লীজ ও ডিসিআর।
দূর্নীতিবাজ তিন কর্মকর্তা প্রতারক আইয়ুব আলী সিকদারকে ব্যবহার করে সরকারি সম্পত্তি ও গাছ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, বঞ্চিত হচ্ছেন হচ্ছে সাধারণ লীজি সদস্যরা।
নিয়ম অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানে সরাসরি কোন আর্থিক লেনদেন করার নিয়ম না থাকলেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নগদ টাকা লেনদেন হচ্ছে অহরহ।
প্রতারক আইয়ুব আলী সিকদারের সাথে সখ্যতা থাকায় ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবয় সমিতির বৈধ সভাপতি সহ সদস্যদের কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না ভূমি সংস্কার বোর্ডের এই তিন কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় এদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলমান।
অথচ দূর্নীতির বিষয়ে কোন জোরালো পদক্ষেপ না থাকায় কাউকে তোয়াক্কা করছেন না তারা। তারা হয়ে উঠছেন আরো বেপরোয়া। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে চলছে তাদের অবাধ দূর্ণীতি।
সরকারী জমি দখল-পাল্টা দখল- আর অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সরকারী গাছ ও জমি বিক্রি করে চলছে ভূমিদস্যুদের পূনর্বাসনের মহাউৎসব। সেখানে ন্যাশনালের নিয়মতান্ত্রিক বৈধ সদস্য হিসেবে ২০০৫ সাল থেকে লীজ সূত্রে মালিক হয়েও অসহায় ভূমিহীন সদস্যরা পাচ্ছেন না তাদের কাঙ্খিত বসতবাড়ি । দখল পাল্টা দখলে তারা অসহায়। যার নেতৃত্বে অসাধু এই তিন কর্মকর্তা।
ভূক্তভোগী লীজি ও নিরপেক্ষ মানবাধিকার কর্মীদের বহু আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশনায় একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও মাসের পর বছর কেটে যায় অথচ অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনা। আবার আলোর মুখ দেখলেও গাছ ও জমি বিক্রির সার্ভেয়ার তদন্ত রিপোর্ট হয়ে যায় নথি জাত। ভূমি সংস্কার কমিশনারদের অধিন পরিচালিত সামগ্রিক দূর্ণীতির তদন্ত প্রতিবেদন সমুহ না প্রদান করায় ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে সরকারি রাজস্ব সহ, ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ। প্রতিনিয়ত মামলা হামলায় লীজ ভূমি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজমান।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আঃ সবুর মন্ডলের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি এবং বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে এ সমস্যার সমাধানসহ অবৈধ ডিসিআর বাতিলের লক্ষ্যে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এমনটাই দাবী সাধারণ লীজি সদস্যসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভূমি সংস্কার বোর্ডের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply