নুরুল আমিন, কলাপাড়া প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়া পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ ১৩০ পরিবারের পুন:বাসন হয় স্বপ্নের ঠিকানা আবাসন প্রকল্পে। পরিবারের সদস্যদের চাকুরি, বিদ্যুৎ বিক্রির লভ্যাংশ প্রাপ্তি, বাড়ির দলিল হস্তান্তর ও কর্মসংস্থানসহ উন্নত জীবন-যাপনের বুকভরা আশা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ ১৩০ পরিবারের সদস্যদের নতুন জীবনের যাত্রা শুরু হয়। তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের কাছে চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। তবে সময় যত গড়াতে থাকে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে দূরত্ব যেন একটু একটু করে বাড়তে থাকে। মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে ইট পাথরে গড়া স্বপ্নের ঠিকানার দৃষ্টি নন্দন ঘরগুলোই যেন দু:স্বপ্নের ঠিকানায় পরিনত হয়ে গেছে অনেকের কাছে। ভ‚ক্তভোগীরা বলেন, ২০১৪ সালে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহনের সময় জমির তিনগুন মূল্য প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান, উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রির ০.০৩ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান, জমি ও বাড়ির দলিল হস্তান্তরের আশ্বাস দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। জমি-জমা ঘরবাড়ি ও পেশা হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। স্বপ্নের ঠিকানায় তাদের যে ঘর দেয়া হয়েছে তা এখন জরাজীর্ন, নেই বিশুদ্ধ পানির সংস্থান ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থা। ফলে এখানে বসবাস করা তাদের জন্য দুরূহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্তমান বাজারে কর্মসংস্থান না থাকায় তারা অনাহার ও অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে পরিবার-পরিজন নিযে মানববন্ধনও করেছেন তারা। তাদের দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনার হুশিয়ারী দেন ভ‚ক্তভোগীরা। তাদের দাবী কোটায় নয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী ১৩০ পরিবার থেকে নূন্যতম একজনকে বিসিপিসিএল কোম্পানিতে সরাসরি স্থায়ী চাকুরী দিতে হবে। উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট বিক্রিয়ের শতকরা ০.০৩ পয়সা ক্ষতিগ্রস্থ ১৩০ পরিবারকে দেওয়ার কথা ছিল সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অধিগ্রহণে মূল্যের চেয়ে তিনগুন টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষদের গুণ টাকা দেয় বাকি দেড়গুণ টাকা সকল ভ‚মি দাতাদের বুঝিয়ে দিতে হবে। স্বপ্নের ঠিকানা আবাসন প্রকল্পের সবাইকে স্থায়ী দলিল দিতে হবে। দূর্নীতির সাথে জড়িত প্রজেক্ট এম ডি এ এম খোরশেদুল আলম ও পিডি শাহ আব্দুল মাওলা হেলাল কে পদত্যাগ করতে হবে এবং প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিজস্ব আত্মীয় ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত সকল কর্মকর্তাদের বাতিল ও অপসারণ করতে হবে। ১৩০ পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ খাবার ও পানীর ট্যাংকি করে সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা দ্রæত সময়ের মধ্যে করতে হবে। সকল দাবী মেনে লিখিত ষ্টেটমেন্ট দিতেহবে।এবিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মো: আরেফিন ভ‚ক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
Leave a Reply