নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সরকারী সম্পত্তি বেহাত জমি বিক্রি ও দূর্ণীতি শীর্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ড নবাব স্টেট এর তিন কর্মকর্তা। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তীপক্ষ।
প্রসঙ্গ (১২ সেপ্টেম্বর)দৈনিক ঘোষণা পত্রিকায় দূর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন ভূমি সংস্কার বোর্ডের তিন কর্মকর্তা শিরোনামে একটা সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত সংবাদের সকল প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে
অথচ নবাব স্টেট এর আরাফাত হোসেন সহ কারী ম্যানেজার সম্পত্তি সহ এই তিন কর্মকর্তা টাকা বিনিময়ে কিছু কুখ্যাত প্রখ্যাত পত্রিকায় উক্ত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে প্রতিবাদ প্রকাশ করায়।
যে প্রতিবাদ সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে তা কাল্পনিক ও মনগড়া গল্প।
এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এরা নিজেদের দোষ ধামাচাপার চেষ্টায় করছেন অপচেষ্টা। গত (১৬ সেপ্টেম্বর ) একটি ভূঁইফোড় পত্রিকায় উক্ত সংবাদটির প্রতিবাদ দেওয়া হয়েছে সেখানে প্রতিবেকের বক্তব্যও দেওয়া হয়েছে। যাহা দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার প্রতিবেদক জানেনই না।
প্রসঙ্গ ভূমি সংস্কার বোর্ডের দূর্ণীতিতে সাধারণ লীজিদের বেহাল দশা এযেন এক পরিকল্পিত নকশা। ভূমি সংস্কার বোর্ডের তিন কর্মকর্তার নীল নকশায় চলছে নবাব এস্টেট তথা সরকারি জমির ডিসিআর বাণিজ্য।
অভিযোগ রয়েছে সরকারি জমি বিক্রি করার জন্য বৈধ লীজি সদস্যদের বাদ দিয়ে দখলবাজ ভূমিদস্যুদের দিয়ে ৫ শতাংশের প্লট করে প্রতি প্লট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি বানিজ্য করছে নবাব স্টেট এর এই তিন কর্মকর্তারা বেহাত হচ্ছে সরকারী সম্পত্তি।
অনুসন্ধান চলাকালীন সময়ে আমাদের হাতে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, জানা যায় ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সময় সমিতির বহিষ্কৃত আইয়ুব আলী সিকদার কে ভারপ্রপ্ত সভাপতি সাজিয়ে এই সরকারী জমি গুলো বিক্রি করছেন মোহাম্মদ হোসেন নবাব স্টেট, সাব্বির হোসেন সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার নবাব স্টেট, আরাফাত হোসেন সহকারী ম্যানেজার সম্পত্তি নবাব স্টেট। এবিষয়ে সংবাদ কর্মীদের বুঝানো হয় আইয়ুব আলী সিকদারের দূর্ণীতির বিষয়ে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। কিন্তু আইয়ুব আলী সিকদার গংদের সাথে প্রতিনিয়ত চলে গোপন মিটিং।
এরা আইয়ুব আলী সিকদারকে ব্যবহার করে সরকারি সম্পদ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা বঞ্চিত হচ্ছেন হচ্ছে সাধারণ সদস্যরা। নিয়ম অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানে সরাসরি কোন আর্থিক লেনদেন করার কথা না থাকলে নিয়ম বহির্ভূত লেনদেন হচ্ছে অহরহ।
আইয়ুব আলী সিকদারের সাথে সক্ষতা থাকায় ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবয় সমিতির বৈধ সভাপতি সহ সদস্যদের কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না ভূমি সংস্কার বোর্ডের এই তিন কর্মকর্তা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলমান।
অথচ দূর্নীতির বিষয়ে কোন জোরালো পদক্ষেপ না থাকায় কাউকে তোয়াক্কা করছেন না তারা, তারা হয়ে উঠছেন আরো বেপরোয়া আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে উক্ত জমি বিক্রি করার চলছে মহাউৎসব। সরকারী জমি দখল-পাল্টা দখল- আর অবৈধ আর্থিক লেনদেনের চলছে মহাউৎসব। সেখানে লীজ সূত্রে মালিক হয়েও অসহায় ভূমিহীন সদস্যরা পাচ্ছেন না তাদের কাঙ্খিত জমি।
উপরোক্ত বিষয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও অদৃশ্য কারণে তদন্ত রিপোর্ট নথি জাত হয় কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন দেন না উক্ত কর্মকর্তারা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে সরকারি রাজস্ব সহ, ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ। উক্ত বিষয়ে মোঃ আব্দুস সবুর চেয়ারম্যান ভূমি সংস্কার বোর্ড এর সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি। তবে এ সমস্যার সমাধানসহ অবৈধ ডিসিআর বাতিলের লক্ষ্যে কাজ করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এমনটাই দাবী সাধারণ সদস্যদের।
Leave a Reply