1. [email protected] : Ghoshana Desk :
  2. [email protected] : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. [email protected] : Masud Khan : Masud Khan
কৃষক লীগ সম্পাদক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
সেনা অভিযানে রাজশাহীর ‘সন্ত্রাসী সাংবাদিক’ জুলু গ্রেপ্তার-অস্ত্র উদ্ধারে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন ফুলপুরে কাবিটা কর্মসূচির আওতায় ৩০০০ ফুট সলিং রাস্তার পরিদর্শন করলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দখল পাল্টা দখল : নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে অচলাবস্থা কাটছে না এনাম মেডিকেল কলেজে কর্মচারীদের দাবি আদায়ে কর্মবিরতি, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ফের স্বাভাবিকতা বাংলাদেশের যে সংবিধান রয়েছে এটি আঃলীগ বিধান- হাসনাত বগুড়া ডিবি পুলিশের অভিযানে তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দানকারী গ্রেফতার বগুড়ায় ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা আদায়, এপিবিএন সদস্যসহ ছয়জন আটক কালিয়ায় জেষ্ঠ্য সাংবাদিকের ওপর হামলা হরিণাকুন্ডুতে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে যাবজ্জীবন জরুরী বিভাগে ডিউটি রেখে পাইভেট চেম্বারে ব্যস্ত ডা. শিপলু সরকার

কৃষক লীগ সম্পাদক সেলিম রেজার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎের অভিযোগ

reporter নিজস্ব প্রতিবেদক
calendar প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:৩২ অপরাহ্ণ

হায়দার হাওলাদার: হালিমা রহমান নামে এক নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক প্রতারক। প্রতারক ওই ব্যক্তির নাম সেলিম রেজা, পিতার নাম ইমান আলী, বাড়ি ঝিনাইদাহ জেলার কালিগঞ্জ থানার চাপালি গ্রামে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার খালিশপুর থানার অন্তর্গত মুজগুন্নি আাবাসিক এলাকায়।ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি একজন নারী উদ্যোক্তা। একটি অনুষ্ঠানে গত ২০২১ সালের মার্চ মাসে তার সাথে পরিচয় হয় সেলিম রেজার।ওই সময় তিনি নিজেকে বড় ব্যবসায়ী এবং আ.লীগের এমপি আনারের খুব কাছের লোক বলে পরিচয় দেন। তার ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে তাকে সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন। এরপর হালিমা রহমানকে তিনি প্রস্তাব দেন তার স্বামী মজিবুর রহমানের সাথে পরিচয় করে দেয়ার।এরপর একদিন ব্যবসা সংক্রান্ত আলাপ আলোচনার জন্য সেলিম রেজা হালিমা রহমানের বাড়িতে আসেন। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে মজিবুর রহমান, হালিমা রহমান ও সেলিম রেজার মধ্যে একটি যৌথ ব্যাবসায়িক এগ্রিমেন্ট হয়। যার তারিখ ছিল ১৬/০২/২০২২ইং। সেই থেকে দীর্ঘ ৭ মাস ব্যাবসার হিসাব নিকাস সহ সবকিছু পরিচালনা করতেন মজিবুর রহমান ও সেলিম রেজা। এরপর ১৭ নভেম্বর ২০২২ সালে মজিবুর রহমান খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ICU তে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।তারপর থেকে প্রতারক সেলিম রেজা বিভিন্ন সময় ব্যাবসায়ীক কথা বার্তা বলে ওই নারীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক তৈরী করার চেষ্টা করেন। এভাবে পারিবারিকভাবে একটি সুন্দর সম্পর্ক স্থাপন করেন চতুর সেলিম।সে সময় তিনি বলেন আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে আমি এখন একা, আমার আপন কেউ নেই। তিনি নিজেকে দুঃখী এবং এতিম বলে প্রায়ই কান্নাকাটি করে ওই নারীকে দূর্বল করে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারক সেলিম রেজা তার পরিবারের কাছে হালিমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।এরপর পারিবারিক সম্মতিতে সেলিম রেজার বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হন হালিমা।বিয়ের পর থেকে ওই নারীর নিজ বাড়ি খুলনাতে থেকেই যাবতীয় ব্যবসা-বাণিজ্য নিজ তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করতে থাকেন সেলিম।কিছুদিন পর ওই নারী জানতে পারেন সেলিম রেজা তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।তার স্ত্রী এবং সন্তানরা তার তত্ত্বাবধানেই তার বাড়িতেই রয়েছে।সে কোন বড় ব্যবসায়ী নন। তার ভাইদের একটি মুদি দোকান এবং নিজের একটি মটর পার্টসের দোকান ব্যাতিত আর কিছুই নেই। এ সব জেনেও লোক লজ্জা, মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে যান তিনি। কিন্তু প্রতারক সেলিম রেজা ধীরে ধীরে তার আসল রূপ বেরিয়ে আসতে থাকে। সে প্রায়ই নেশাদ্রব্য সেবন করে মাতাল হয়ে বাড়িতে আসতে শুরু করে। এরপর নানা বিধ ব্যবসার কথা বলে ওই নারীর নিকট থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন।আর এভাবে তিনি তার সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ খোয়াতে থাকেন।এক পর্যায়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে সেলিম রেজা তার সন্তানকে খুন করবে বলে হুমকি দেন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারো তাকে ব্যবসার জন্য টাকা দিয়ে খুলনার মানিকতলা মোড়ে একটি মোটর পার্সের শোরুম করে দেন।কিন্তু তাতেও মন ভরে না প্রতারক সেলিমের, সে দাবি করেন হালিমা রহমানের পরিশ্রমে গড়া বাড়িঘর সহ সকল স্বয় সম্পত্তি তার নিজ নামে লিখে দিতে হবে।এটা সম্ভব নয় জানালে শুরু হয় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন।একপর্যায়ে সম্পত্তি এবং নগদ টাকা না পাওয়ায় হালিমা রহমানের নামে খুলনার মানিকতলায় যে মোটর পার্টসের শোরুম ছিলো তার যাবতীয় মালামাল চুরি করে ট্রাকযোগে পালিয়ে যায় সেলিম।পরে ঐ নারীকে ডাকযোগে ডিভোর্স লেটার পাঠায় সে।

এ নিয়ে খুলনার আদালতে নারী,শিশু ও যৌতুক নির্যাতন দমন আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঐ নারী। যার নম্বর-সিআর ২৭৪/২৩-১৭৯-২৩। উক্ত মামলায় গত ১৬ ই নভেম্বর ২০২৩ তারিখ সেলিম গ্রেফতার হন। ওই মামলায় সেলিম ৩ মাস জেল খেটে জামিনে বের হন।বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

হালিমা বলেন প্রতারণা করে আমার কাছ থেকে সেলিম যে দুই কোটি টাকা নিয়েছে তা ফেরত চাই। সাথে সাথে এ ধরনের একজন নারী লোভী ও অর্থ পিপাসু প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তিনি বলেন বর্তমান সরকার ছাত্র জনতার সরকার আমি এই সরকারের নিকট প্রতারক সেলিম রেজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। যাতে করে আমার মত কোন নারীকে প্রতারণা করার সাহস কোন পুরুষ না পায়।

এ বিষয়ে সেলিম রেজার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন হালিমা নয় বরং আমি তার নিকট উল্টো ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা পাবো। কিভাবে এতগুলো টাকা দিলেন এবং তার কোন ডকুমেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

তবে হালিমা রহমান বলেন সেলিম রেজা সহ তার দুই ভাইকে আমি যে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়েছি তার প্রমান রয়েছে।তিনি বলেন সেলিম আমার স্বামী থাকা অবস্থায় আমার ড্রয়ার খুলে আমার সাক্ষর করা কয়েকটি চেকের পাতা চুরি করে। সেই চেক দিয়ে তার সমস্ত কু কর্মের সহযোগি তার আপন দুই ভাই শাহিন রেজা ও শাকিল রেজাকে দিয়ে পরবর্তীতে ঝিনেইদাহ কোটে আমার বিরুদ্ধে দুইটা মামলা দায়ের করেন।কিন্তু চেক চুরির বিরুদ্ধে আগেই আমি খালিশপুর থানায় একটি জিডি করি এবং সার্চ ওরেন্টে হয়। সে এখন এই চেক দেখিয়ে বলতে পারে আমার নিকট টাকা পাবে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Please Share This Post in Your Social Media

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com