মণিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের,আদম ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেন স্ত্রী মোছাঃ রুনা খাতুন।
অভিযোগ উল্লেখ করেন কয়েকটি এনজিও থেকে রুমা কে সদস্য করে ৬লক্ষ টাকা তুলে নেন স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন।এছাড়াও কয়েক দফায় প্রবাসী সালকের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে ৬লক্ষ টাকা ধার নেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী রুমা খাতুন।রুমা খাতুন জানায় আমার দ্বারা বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা তুলে নিয়ে আমার দুই ছেলে সন্তান সহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।কয়েকদিন পরে জানতে পারি আমার স্বামী রিলেশন করে একটি মেয়েকে বিবাহ করেছে।আমি নিরুপায় হয়ে পড়ি,বিভিন্ন মাধ্যমে একাধিকবার সালিসি বৈঠক হলেও তিনি আমাকে স্ত্রী,ও সন্তানদের পিতার অধিকার দেননি।অবশেষে দুই সন্তানের পেটের জালা মেটাতে আমি ও আমার দুই সন্তান ঢাকায় যেয়ে গার্মেন্টসে কাজ করি।এবিসায়ে মণিরামপুর থানায় লিখত অভিযোগ তুলে ধরা হলো।
আমি মোছাঃ রুমা খাতুন (৩১), পিতা- মোঃ আব্দুস ছালাম সরদার, সাং-লক্ষণপুর, থানা-মণিরামপুর, জেলা-যশোর থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন (৪৫), পিতা- মৃত শামছুর সংসার, ২। মোছাঃ শিরিনা বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন, ৩। মোছাঃ মাজেদা খাতুন (৪০), পিতা- ওয়াজেদ আলী, ৪। মোঃ মফিজ (৪০), পিতা- ওয়াজেদ আলী, ৫। মোঃ হাসেম আলী (৩৮), পিতা- মৃত খোরশেদ অলী, সর্ব সাং- রামনগর, থানা-মণিরামপুর, জেলা-যশোরদের বিরুদ্ধে এইমর্মে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতেছি যে, উল্লেখিত ১নং বিবাদী আমার স্বামী, ২নং বিবাদী ১নং বিবাদী ২য় বিবাহের স্ত্রী, ৩, ৪নং বিবাদী ২নং বিবাদীর ভাই এবং বোন এবং ৫নং বিবাদী ২নং বিবাদীর চাচাত ভাই। ১নং বিবাদীর সহিত আমার গত ১২ বছর পূর্ব ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। আমার সাংসারিক জীবনে ০২টি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বিবাহের পর হইতে বিবাদী আমার নিকট যৌতুক হিসাবে ৫,০০,০০০/- টাকা চাহিয়া শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করিত। আরো টাকা দাবি করে সেই টাকা না ১নং বিবাদীকে না দিলে আমাকে তালাক দিয়ে ২য় বিবাহ করিবে বলিয়া বিভিন্ন ধরণের ভায়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিত। পরবর্তীতে আমার পিতা এবং আমার ভাইয়ের নিকট থেকে ১নং বিবাদী নগদ ৫ ১৫,০০০/- টাকা নিয়ে দিই। উক্ত টাকা দেওয়ার কিছু দিন ভালো থাকার পর ১নং বিবাদী পূর্বের ন্যায় আমার নিট আরও টাকা চাহিয়া লাঠি সোঠা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া আমার পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে ১নং বিবাদী আমাকে না জানাইয়া গত ০৯ মাস পূর্বে ২নং বিবাদীকে বিবাহ করে। পরবর্তীতে সকল বিদাদীরা কুপরামর্শ করিয়া আমাকে দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ৬,০০,০০০/- টাকা উঠাইয়া বিবাদীরা আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করিয়া আমাকে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। সে হইতে আমি আমার পিতার বাড়িতে আমার দুই ছেলে সন্তানকে নিয়ে কষ্টে দিন যাবপ করিয়া আসিতেছি। ১নং বিবাদীর নিকট ফোন করিয়া তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলিলে ১নং বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে তুই যদি আমার বাড়িতে আসিস তা হলে তোকে খুন করিয়া ঘরের আড়ার সহিত ঝুলাইয়া দিবো বলিয়া বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া ফোন কাটিয়া দেয়। সেই হইতে বিবাদীরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে সাক্ষী ১। মোঃ লিটন ইসলাম (আপু) (৪০), পিতা- মৃত রোস্তম সরদার, সাং- রামনগর, ২। মোছাঃ আলেয়া বেগম(৫৫), স্বামী- মোঃ আব্দুস ছালাম সরদার, সাং- লক্ষণপুর, থানা-মণিরামপুর, জেলা-যশোরসহ সহ আরোও অনেকেই জানে ও শুনিয়াছে।
আসামীর কঠোর শাস্তি ও অর্থ ফেরত ও স্ত্রীর সৃকৃতি চাই রুমা খাতুন।এবিষয়ে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের নিকট বিস্তারিত জানার জন্য ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।
Leave a Reply