মোঃ আতিকুর রহমান মিরন, মুলাদী উপজেলা প্রতিনিধি: দেখতে দেখতে স্মৃতিময় আগস্ট মাসের শেষ দিনের সূর্য অস্ত গেল, রেখে গেল কত যে স্মৃতি। স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছে কত শত ছাত্র জনতা। রক্তের দাগ রাজপথে এখনো লেগে আছে।স্বজনের চোখের জল শেষ হচ্ছে না। গুলি কিংবা নির্যাতনে আহত অবস্থায় এখনো হাজার হাজার ছাত্র-জনতা বিভিন্ন হসপিটালে দিন গুনছে। ১লা জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু কিন্তু ধীরে ধীরে আন্দোলন বেগবান হয়,৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে সৈরাচার সরকার প্রধান শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশান্তরিত হয়। এই ঘটনা সোনার মধ্য দিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে রাহোমুক্তি পায়। আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে সারা দেশ,মিষ্টি বিতরণে সমস্ত মিষ্টির দোকান গুলো খালি হয়ে যায়। আনন্দ মিছিলে মিছিলে মুখরিত রাজনীতি দলগুলোর মাঝে। এরপর থেকেই বিভিন্ন দল রাজনৈতিক প্রোগ্রাম দিয়ে দলের কর্মীদের সাথে স্বাধীন ভাবে মতবিনিময় করে। স্বৈরাচার সরকারের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নেয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন। সকল নেতাকর্মীর শৃঙ্খলা বজায় রেখে ধৈর্যধারণ করার আহ্বান ও জানান।যার যার পছন্দের রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছবি দিয়ে বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের আনাচে কানাচে। দেয়ালে দেয়ালে আগস্টের স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে ছাত্রছাত্রীদের হাতের রং তুলির রঙে নানান ছবি শোভা বর্ধন করে। এ যেন এক নতুন বাংলাদেশ, বদ্ধ খাতা থেকে মুক্তির বাংলাদেশ। মুক্তি পেয়েছে আপামর জনগণ। চায়ের দোকানে চায়ের কাপে ঝড় তুলে নতুন বাংলাদেশ ইতিহাসের কথা নিয়ে। প্রতি ঘন্টার খবরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। কখন কি নতুন খবর পাবে সেই প্রত্যাশায়। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে অপেক্ষায় থাকে খবরের কাগজের আশায়। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ কিংবা আমলাদের গ্রেপ্তার করা হলো কিনা সেই সংবাদে কান পেতে থাকে টেলিভিশনের পর্দার দিকে। মানুষ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে সত্যকে সত্য মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে পারছে এটাই তাদের বড় পাওয়া। প্রতিটা মানুষের অধিকার যেন এভাবে নিশ্চিত হয় এর বেশি সাধারণ মানুষের চাওয়া নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ভোট যেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দিতে পারে এটাই তাদের প্রধান দাবি। রাজনীতিবিদরা যেন দেশের মালিক দাবি করতে না পারে এটা তাদের চাওয়া। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা শুধু সরকারের সেবক হিসেবে কাজ করবে এর বেশি কিছু নয়। স্মৃতিময় আগস্ট স্মৃতি হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ। ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে শত শত বছর।
Leave a Reply