নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ব্যাংকে ০৪/১২/২০২২ তারিখের ২৪ নং প্রশাসনিক পরিপত্র জারীর মাধ্যমে অফিসার থেকে উপ-পরিচালক পর্যন্ত কর্মকর্তাদের প্রমোশনের জন্য ৬৩ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৮৩ ও যুগ্ম-পরিচালক থেকে অতিরিক্ত পরিচালক পর্যন্ত কর্মকর্তাদের প্রমোশনের জন্য ৬৩ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৮৫ নম্বর করা হয় ।
কিন্তু পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালক পদের জন্য ৯১থেকে কমিয়ে ৮৫ করা হয় । যে সমস্ত কর্মকর্তা ৩৫/৪০ বছর আগে এসএসসি পাশ করেছেন তাদের চাকুরী শেষের দিকে । তাদেরকে প্রমোশন থেকে বাদ দেয়ার জন্য পলিসি প্রণয়ণে জড়িত এইচ আর ডি-০১ এর কিছু স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তা ৩০/৪০ বছর আগের শিক্ষা সনদের মান অবনমন করে বর্তমানে পাসকৃতদের সাথে ম্যাচ করে কৌশলে পুরাতনদের নম্বর কমিয়ে দেয় । এমনকি আগে ব্যাংকে ৩য় শ্রেনী/বিভাগ গ্রহণযোগ্য হলেও বর্তমান প্রমোশন পলিসিতে ৩য় শ্রেনী/বিভাগ-এর মান শূন্য ধরা হয়েছে ।
যাতে সিনিয়ররা প্রমোশন বঞ্চিত হয় । বর্তমান পলিসির ১২(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রতিবেদনের সাধারণ প্রবনতা’ অনুযায়ী উচ্চতর কমিটি প্রতিবেদনে প্রাপ্ত নম্বর যুক্তিসংগত করতে পারবে । এমন অনেক কর্মকর্তাকে প্রমোশন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে যাদের চাকুরী জীবনে ৮০% এক্সিলেন্ট রয়েছে । অনেক কর্মকর্তা ৮৪ নম্বর পেলেও প্রমোশন থেকে বাদ দেয়া হয়েছে । তাদেরকে পলিসির ১২(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চতর কমিটি প্যানেলে নিতে পারতো । কিন্তু আওয়ামীপন্থী নীল দলের কর্মকর্তাদের চাপে উচ্চতর কমিটি এটা করতে পারেনি । যারা বাদ পড়েছেন তারা বিএনপি ও জামায়াতপন্থী হলুদ দলের কর্মকর্তা । এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে,এইচ আর ডি-এর ডিজি নুরুন্নাহারসহ প্রশাসন ও গভর্নরের পিএসহ ব্যাংকের সব গুরুত্বপূর্ণ টেবিলে সবই নীল দলের কর্মকর্তারা বসে আছেন ।প্রমোশন বঞ্চিতরা গভর্নর বরাবর আবেদন করলেও ডিজি প্রশাসনসহ একটি চক্র আবেদনগুলি গভর্নর মহোদয়ের নিকট প্রেরন না করে গোপন করে রেখেছে ।
তারা গভর্নরের দুর্নাম করে বেড়াচ্ছে যে , বয়সের কারণে গভর্নর এত কাজ পারছে না , তাই আবেদনগুলি তার কাছে পাঠানো হয় নাই । গভর্নরের সাথে দেখা করার একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও এই গ্রুপকে গভর্নরের সাথে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না ।এই প্যানেলের মেয়াদ ২৯/০৮/২০২৪ তারিখে শেষ । বাদ পরা কর্মকর্তাবৃন্দ প্রমোশনের যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও বঞ্চিত । ব্যাংক, পরিবার ও সমাজের নিকট তাদেরকে উদ্দেশ্যমুলকভাবে অপমান করা হচ্ছে । এ বিষয়ে গভর্নর মহোদয় ও অর্থমন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ জরুরী ।
Leave a Reply