আর এ লায়ন সরকার নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি: জেলা পরিষদ প্রধান সহকারীর অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, গোটা জেলা পরিষদই প্রধান সহকারী ব্যক্তিগত ক্ষমতা আর লালসায় সততা, সভ্যতা আর উন্নয়ন হারিয়ে চলছে। প্রকল্প পাশ, জায়গা বন্দোবস্ত, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার অনুদান, ঠিকাদারদের কাজের বিল পাশ করতে কমিশন না দিয়ে উপায় থাকে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার অনিয়মের ফিরিস্তির মধ্যে মসজিদ, মাদরাসা, শ্মশান, অযুখানা, এতিমখানার অনুদানের চেক নিতে লাখে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। বিভিন্ন প্রকল্প পাশ করাতে দালালের মাধ্যমে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। টাকা পেলে অনেকের ব্যক্তিগত ঘরের পথ, পুকুর ঘাট, টয়লেটও নিমার্ণ করে দেন জেলা পরিষদের অর্থে।
জেলা পরিষদের জায়গা বন্দোবস্ত নিতেও দিতে হয় টাকা। আবার এক জায়গা টাকার বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তিকে দিতেও দ্বিধা করেন না তিনি। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান না হলে নানা অজুহাতে নবায়ন করেননা। আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন সময় আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন নেতা জনপ্রতিনিধিদের পরিষদের কাজ দেওয়ার নামে ঘুষের বিনিময়ে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। স্থানীরা আরও জানান, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, মন্দির ছোট প্রকল্পের ৭-১০ পারসেন্ট টাকা নগদে না পেলে ফাইল টেবিলে পড়ে থাকে। জেলা পরিষদের কাজকর্মে সংশ্লিষ্টরা হয়রানির কারনে চেকের জন্য আর আসেনা। লোকজন এ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আলহাজ্ব মতিন ভূঁইয়ার ও সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন ভূঁইয়ার কাছে অভিযোগ দিলে নানা ছুঁতোনাতোয় পার করে দেন। প্রধান সহকারীর অনিয়ম, হয়রানি, দুর্নীতির বিষয়ে জেলা পরিষদের সভায় জোরালোভাবে আলোচিত হলেও আর হবেনা বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এর কোন ফল পাওয়া যায়নি। জানা যায়, জেলা পরিষদ প্রধান সহকারী খোরশেদ আলম এর অনিয়ম আর দুর্র্নীতির কথা ভয়ে এ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ঠিকাদাররা প্রকাশ্যে বলতে চান না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ঠিকাদার বলেন, তিনি তার ঠিকাদারী জীবনের ৩৩ বছরে প্রায় ২০ জন প্রধান সহকারী দেখেছেন, কিন্তু সব কাজে টাকা লেনদেনের রীতি আগে দেখেনি। তাদের এই দুর্নীতির অভিযোগ চেয়ারম্যান ও প্রশাসকদের কাছে দিয়েছেন। অবিলম্বে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবী জানান তারা।
খোরশেদ আলম ১৫/০৬/২০০৬ উচ্চমান সহকারী হিসেবে নরসিংদী জেলা পরিষদে যোগদান করেন পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে ০১/০৬/২০০৮ প্রধান সহকারী হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন সে থেকেই তার শুরু হয় ঘোষ বাণিজ্য, জেলা পরিষদ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ সেখান থেকেই একাধিক বাড়ি ক্রয় করেন খোরশেদ আলম।
খোরশেদ আলম বৈবাহিক জীবনে করেছেন একাধিক বিবাহ তার প্রথম স্ত্রী দেশে বাড়ি চাঁদপুরে রয়েছেন, দ্বিতীয় স্ত্রী গজারিয়া ইউনিয়নের রামপুর বাজার, দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে ভেলানগরের একটি বাসায় থাকেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী শিরীন আক্তার রামপুর বাজার মুদি দোকানদার আমজাদের মেয়ে। ঘুষের টাকায় স্ত্রীর নামে জায়গা ক্রয় করে সেখানে করে দিয়েছেন আলিশান বাড়ি।
বর্তমান ছাত্র-জনতার সরকারের লক্ষ্যই হলো বৈষম্য বিরোধী ঘুষ দুর্নীতি মুক্ত প্রতিষ্ঠান, বিরোধী ছাত্র জনতার কাছে সাধারণ মানুষের দাবি এ সমস্ত ঘুষখোরদের কে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ বিস্তারিত দ্বিতীয় সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে। অভিযোগ বিষয়ে তার অফিসে গেলে তার সাথে সাক্ষাৎ না হওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। নরসিংদী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল ওহাব রাশেদ জানান আগে ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছি তবে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিস্তারিত দ্বিতীয় সংখ্যায়।
Leave a Reply