নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ ২৫শে আগষ্ট শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব বিপ্লব চৌধুরী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জনাব জহিরুল ইসলাম ভূঈয়া (ভুট্টো), (যদিও বর্তমানে এই দায়িত্ব পালন করছে বিভাগীয় কমিশনার) এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকদের সাথে শান্তিপূর্ণ বৈঠক আলোচনা হয়েছে।শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে উক্ত দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীগন। শিক্ষকবৃন্দের দেওয়া আশ্বাসগুলো তুলে ধরা হল :
১.সনদপত্র/প্রশংসাপত্র/মার্কসিট – এইগুলো প্রতিটার জন্য ৫০ টাকা অর্থাৎ ৩ টার জন্য ১৫০ টাকা লাগবে। ২.বিদ্যালয়ে দ্রুত বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারের ব্যবস্থা করা হবে। ৩.গরমে এসির ঠিকমত ব্যবহার করা হবে। ৪.কিছু পারিপার্শ্বিক কারণে স্কুলের বেতন কমানো সম্ভব নয়,তবে আগামী পরীক্ষা থেকে পরীক্ষার ফি বেতনের ৭৫% করা হবে। ৫.বছরের শুরুতেই আইডি কার্ড দেওয়া হবে। ৬.ছেলে শিক্ষার্থীদের টুপি বাধ্যতামূলক করা হবে, দ্রুতই শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ল্যাব ক্লাস চালু করা হবে। ৭.নিয়মিত ওয়াশরুম নিট এন্ড ক্লিন রাখা হবে। ৮.বিদ্যালয়ে রোভার স্কাউট বা বিজ্ঞান ক্লাব গঠনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ৯.যেসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এসেছে,তাদের শিক্ষক মিটিং-এ ডেকে প্রধান শিক্ষক সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেন যেন তারা পরবর্তীতে এমন কাজ আর না করে।১০.নিরাপত্তাজনিত ইস্যুর কারণে ৩য় তলার বেলকুনি বন্ধই থাকবে। ১১.এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিকট কোনো অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না। ১২.প্রতি বছরের ন্যায় এইবারও টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে এসএসসি পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। ১৩. আপাতত স্কুলে ক্যান্টিন চালু করার সুযোগ নেই কোনো। ১৪. শান্তিপুর স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন টূর্ণামেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হবে। ১৫. বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষগুলো দ্রুত ডেকোরেশন করা হবে। ১৬.বিদ্যালয়ের দারোয়ানরা যেন খারাপ ব্যবহার না করে উনাদের ইতিমধ্যে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১৭.ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন একেবারে নিষিদ্ধ। ১৮.দ্রুত এলামনাই গঠনের জন্য স্কুল প্রশাসন থেকে সকল রকমের সাহায্য করা।
শিক্ষার্থীদের দাবী-দাওয়াগুলো মনযোগ দিয়ে শুনে সেগুলো অতি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং স্কুলের সভাপতি সাহেবকে আন্তরিক ধন্যবাদ।সকলের প্রচেষ্টার “শান্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়” অত্র থানায় স্বনামধন্য স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে ইন-শা-আল্লাহ।
Leave a Reply