মো আব্দুল কাদের জিলানী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ২১ নং ঢোলারহাট ইউনিয়নে এক নারীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানাগেছে, ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ভিডিও তে দেখা যায় ওই ইউপি চেয়ারম্যান একটি বাসার কক্ষে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক মিলনে জড়িয়ে পড়ে। পরে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তে মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ জানায়, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন নেক্কারজনক কাজ করতে পারে তা আমারা ভাবতেই পারি না। এ ধরনের মানুষকে জনপ্রতিনিধি থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, চেয়ারম্যান এর এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে আমাদের ইউনিয়নের মান সন্মান ক্ষুন্ন হয়ে গেছে। একজন জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষক হয়ে কিভাবে এমন অশ্লীল কার্যকলাপ করতে পারে। যে মানুষের মান-সন্মান বিবেক বুদ্ধি নেই তাকে দিয়ে কিভাবে জনগণের সেবা হবে? ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই চেয়ারম্যান বর্তমানে আত্তগোপনে রয়েছে।
এব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাজাহান আলী জানান, এই চেয়ারম্যান এক ঝাড়ুদার মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল তার কাছে কেউ নিরাপদ নয়। আমরা এই ধর্ষক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ইউএনও সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা তবে অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি, ইউনিয়নবাসী ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পদত্যাগ ও বিচারের দাবীতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে । চেয়ারম্যান গত ২৭/০৯/২২ মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে ওই পরিষদে ঝাড়ুদার নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে অখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩০/০৯/২২ ইং তারিখে রুহিয়া থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনীয় ২০০৩ এর ৯/১ ও ৯/৪(খ) ধারায় মামলা হয় যার মামলা নং ১০ । কিন্তু পরে সেই মামলা অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আপোষ করাতে বাধ্য করা হয় মামলার বাদীনিকে। এদিকে, বিভিন্ন কর্মসূচিতে নাম তালিকাভূক্ত করতে আসা অসহায়, দরিদ্র নারী ও বিচারপ্রার্থী নারীদের ভয়ভীতি, লোভ- লালসা দেখিয়ে গোপন ডেড়ায় নিয়ে এসে অপকর্মে লিপ্ত হয়ে গোপন ক্যামেরায় তা ভিডিও করে রাখতেন। পরে ঐ ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেলিং করে দিনের পর দিন নারীদের সম্ভ্রমহানি করতেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।
Leave a Reply