সাভার উপজেলা প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ায় কর্মরত এটি এন নিউজের সাংবাদিক জাহিদ হাসান শাকিল, নাজমুল হক ইমু, শ্রমিক নেতা রাকিবুল ইসলাম সোহাগ সহ ৬৮ জন আওয়ামী নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রসঙ্গ (৫ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর। আশুলিয়ার বাইপাইল মোড় এলাকায় সাংবাদিক জাহিদ হাসান শাকিলের ডোন ক্যামেরা উড়িয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গতিবিধি লক্ষ করে গুলি করা হয়। এসময় এটি এন নিউজের সাংবাদিক জাহিদ হাসান শাকিলসহ আওয়ামী লীগ নেতারা শিক্ষর্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি করে, এতে প্রায় ৪৬ জন নিহত সহ প্রায় দের হাজার শিক্ষার্থী সহ সাধারণ জনতা আহত হয়। সুত্রে জানা যায় ক্যাডার হিসেবে গুলি করে জাহিদ হাসান শাকিলের সন্ত্রাসী গ্রুপের সেকেন্ডিন কমান্ড গাউস,রোমেল,চায়না সোহেল সহ তার বাহিনী। এবিষয়ে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় সাংবাদিক জাহিদ হাসান শাকিলের নাম উল্লেখ্য করে সংবাদ প্রকাশ হয়,। এরপর থেকে জাহিদ হাসান শাকিল পলাতক রয়েছে,এবং তার বিরুদ্ধে যেন মামলা না হয় এজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়।
মামলার বাদী আনারুল ইসলাম বলেন ঔদিন আমি ও মৃত ( সাগর ২৮) সকালে এস এ পরিবহনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন বিবাদীরা আমাদের গতিরোধ করে আটক করে মারধর করে। আমরা ছাত্র নই দোকানে কাজ করি আমাদের ছেড়ে দেন বললে তারা আমাদের ছেড়ে না দিয়ে সাগরের মাথায় গুলি করে চলে যায়।এ-সময় আমিসহ ছাত্র জনতা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাবিব ক্লিনিক পরে নারী শিশু হাসপাতালে নিলে বিকেল তিন ঘটিকার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করলে তা সম্ভব হয়নি পরে আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিজ্ঞ আদালতে ৬৮ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করা হয়। আরো জানা যায় সাংবাদিক জাহিদ হাসান শাকিল নবাগত সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামের সন্ত্রাসী গ্রুপের এ পেতাত্মা হিসেবে কাজ করতো।
এবং তার সকল অবৈধ ব্যবসার সেকেন্ড পাটি ছিল জাহিদ হাসান শাকিল । জাহিদ হাসান শাকিল সাংবাদিক হওয়ায় এবং সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম এরং অতি ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আশুলিয়া থানা পুলিশ কে জিম্মি করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন ভাবে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিতো লক্ষ লক্ষ টাকা। তার নিয়ন্ত্রণে ছিল সকল ঝুট ব্যবসা বাইপাইল ফলের আড়ত, শ্রীপুর হাইওয়ে রাস্তায় কাপরের দোকান, চলতো তার নিয়ন্ত্রণে। এবং পল্লিবিদ্যুত আমিন মডেল টাউনে ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসা দখল সহ আর এম টাওয়ার, মাছের আড়ত ডিস ও নেট ব্যবসা দখল হতো তার ইশারায়। দেখভাল করতো ময়লার ব্যবসা সহ এমপি সাইফুলের ক্যাডার বাহিনী সহ সকল ব্যবসা। সাংবাদিক জাহিদ হাসান শাকিল এমপি সাইফুলের ক্ষমতায় প্রায় সকল সাংবাদিকদের বাগপ্রতিবন্ধী করে রেখেছিলো।
তার ফলস্বরুপ আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবে আগুন ধরিয়ে পুরিয়ে দেওয়াসহ সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করে দেয়। তার কাছে জিম্মি হয়ে পরেছিলো আশুলিয়া থানাও। শুধু তাই নয় আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাফফর হোসেন জয়ও চলছে সাংবাদিক জাহিদ হাসান শাকিলের ইশারায়। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের একাধিক সিনিয়র সদস্যরা বলেন এসকল দালাল চাটুকার সাংবাদিকদের কারণে আমারা আজ অবহেলিত। এলাকাবাসী জানান একজন সাংবাদিক জাতির বিবেক সে যদি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর নির্বিচারে গুলি করে তাহলে তারা কখনই সাংবাদিক নয়, তারা নিজের সার্থে জন্য নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে মানুষ কে জিম্মি করে গড়ে তুলেছে অবৈধ সম্পাদ। আমরা এটি এন নিউজের সাংবাদিক নামধারী জাহিদ হাসান শাকিলকে চাকুরী থেকে অব্যহত দিয়ে এই জুলুম কারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি ।
Leave a Reply