মুহাঃ মোশাররফ হোসেন, মনিরামপুরঃ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের মোঃ শহিদুল ইসলামের একমাত্র কন্যা, এক সন্তানের জননী লিজা খাতুন স্বামী ও শ্বশুর, শাশুড়ির অমানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিজার সাথে একই গ্রামের আঃ সামাদ সর্দারের ছেলে মুস্তাক আহমেদ লিম-এর পারিবারিকভাবে ৭ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে লিজার উপর চলে অমানবিক শারীরিক মানসিক নির্যাতন। এমনকি শ্বশুর-শাশুড়ি ইন্দুনে প্রায় সময়েই মেরে বেহুঁশ করে রাখে যৌতুক লোভী স্বামী।
গত শনিবার (১৭ আগস্ট ২৪) আনুমানিক সকাল ৮ ঘটিকার সময় সংবাদকর্মী সরেজমিনে গিয়ে লিজার কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার দীর্ঘ ৭ বছর বিয়ের পার করে ৭ মাসও আমি শান্তিতে থাকতে পারি নাই। আমাকে ঠিকমত খেতে পরতে দেয় তো না, বরং কিছু বললে আরো শ্বশুর, শাশুড়ির ইন্দনে আমার স্বামী আমাকে প্রচুর পরিমাণে মারধর করে। এমনভাবে শরীরের আঘাত করে আমার হুঁশ থাকে না। এবং আমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে, আর না আনলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। লিজা আরো বলেন, আমার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি প্রচুর অর্থলোভি এবং অসামাজিক লোক। সামাজে কারোর সাথেই মিশে চলে না এমনকি আমাকেও কারোর বাড়ি যেতে দেয়না। আর যদিও গোপনে যাই তাতে আবার আমার উপর অমানসিক নির্যাতন করে। লিজা আরো বলেন, আমার বাবা একজন গরীব, মানসিক ভারসাম্যহীন পতিবন্ধী এবং অসহায় মানুষ। আমার বাবা তার ভাইদের সহযোগিতা নিয়ে চলে। আমার চাচারা বড়লোক আর এই বড়লোক দেখেই আমাকে লোভে পড়ে বিয়ে করে। আমি স্বামীর বাড়ি সুখে থাকার জন্য নগদ টাকা এবং অনেক মালামাল নিয়ে যাই এই শ্বশুর বাড়ি। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হয়নি আমাকে আবার নগদ টাকা এনে দিতে বলে এবং না আনলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেই। হঠাৎ গত ১৬/৮/২৪ ইংং তারিখ রাতে আমাকে আবার টাকার কথা বলে কিন্তু আমি আমার বাবাকে বলি নাই। এই কারনে পর দিন সকাল অর্থাৎ ১৭/৭/২৪ ইং তারিখ সকাল অনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় আমার শ্বশুর এবং শাশুড়ির উপস্থিতেই আমার গলায় গামছা দিয়ে দুই হাত বেঁধে লোহার রড দিয়ে আমাকে মেরে সমস্ত শরীরে আঘাত করে। এ সংবাদ আমার বাবা চাচারা শুনে আমার শ্বশুর বাড়ি আসে। এবং প্রতিবাদ করিলে আমার স্বামী এবং শ্বশুর, শাশুড়ি আমার বাবা চাচাদের অপমান অপদস্থ করে। এমনকি লোহার রড দিয়ে মারতেও যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে যেয়ে আমার বাবা চাচারা আমাকে নিয়ে চলে আসে এবং চিকিৎসার জন্য মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমি একটা মেয়ের মা, আমার একটা ছোট মেয়ে আছে, এই মেয়ে নিয়ে এখন কোথায় যাব। আমি এই অমানসিক নির্যাতনের জন্য উর্ধ্বতন মহলের নিকট বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এখন আমি জীবন বাঁচাতে স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে আশ্রায় নিয়েছি।
Leave a Reply