পর্ব ২ঃ এর পর থেকে খাতায় লেখা শুরু হত। তবে, খাতার সাথে স্লেটে লিখা যেতো। স্লেটের সুবিধা ছিলো এক বার লিখে মুছে ফেলে পূণরায় লিখা যেতো। এভাবে চলতো না ভাংগা পর্যন্ত।
সবকিছু মিলিয়ে ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন আলি মিয়া স্যার বললেন, ” আমার বদলি হয়ে গেছে। মরিচ পাশা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (লোহাগড়া) “। ” সেখান থেকে অল্প দিনের মধ্যেই আমি মহিষার ঘোপ স্কুলে বদলি হয়ে চলে আসবো। ” স্যারের গ্রামের নাম ছিলো বিদ্যাধর আর আমাদের গ্রামের ব্রাহ্মণ জাটি গ্রাম। এই দুই গ্রামের প্রায় সব ছাত্র একযোগে বলে উঠলো স্যার আমরাও মহিষার ঘোপ স্কুলে চলে যাবো। পরের দিন থেকে আমি মহিষার ঘোপ স্কুলে যাওয়া শুরু করলাম। এবং সেই স্কুল থেকেই পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে কাশিয়ানি জিসি পাইলট হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি তে ভর্তি হই।স্যারের কথামতো আমি ফরিদপুর গিয়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু বৃত্তি প্রাপ্ত হই নি। একদিন আমি হোটেল থেকে হারিয়ে গিয়েছিলাম। অনেক ঘোরাঘুরির পর স্যারের সামনে পড়ে যাই কারণ স্যার আমাকে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে খুঁজছিলেন। মহিষার ঘোপ স্কুলে আমি আরো তিন জন শিক্ষক পেয়েছিলাম। তাঁরা হলেন জনাব মরহুম আব্দুল খালেক মিয়া, গ্রামঃ খোলাবাড়িয়া (আলফাডাংগা উপজেলা) , মরহুম আব্দুল খালেক মুনশি, গ্রামঃ খায়েরহাট (কাশিয়ানি উপজেলা), বাবু মোহিত কুমার সাহা, গ্রামঃ মহিষার ঘোপ।
আমার বেশিদিন এই তিন স্যারের সান্নিধ্যে লাভের সুযোগ হয় নি। তবে সব স্যারই নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক ছিলেন।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, কাশিয়ানী জি সি পাইলট হাই স্কুল ।
Leave a Reply