মোঃ রবিউল ইসলাম, পাবনাঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলা ঝবঝবিয়া গ্রামের মৃত মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ও তার স্ত্রী শিরিনা আক্তারের বিরুদ্ধে অগ্রণী ব্যাংকে চাকরির দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়া নেওয়ার অভিযোগে গত ১৭ই আগস্ট, ২০২৪ইং শুক্রবার বেলা ৩ ঘটিকায় শরৎগঞ্জ সমন্বয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন একই উপজেলার চক মাড়ম(কুয়াবাসি) গ্রামের মোঃ মোহর আলী পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
সংবাদ সম্মেলনের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মোস্তফা কামাল আমাকে অগ্রণী ব্যাংকে চাকরির জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। কিন্তু আমার সার্টিফিকেট বয়স তখন ৩৪ বছর সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে এ কথা মোস্তফা কামালকে বলায় তিনি বলেন, অগ্রণী ব্যাংকের উপ-শাখায় তোমাকে ম্যানেজারের পদে চাকরি দেওয়া হবে বেতন ২৫ হাজার টাকা এতে তুমি ভালো চলতে পারবে কিন্তু এটা আস্তে আস্তে সরকারীকরণ হয়ে যাবে তখন সরকারি ভাবে তুমি সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে মর্মে পর্যায়ক্রমে প্রথমে দুই লক্ষ টাকা এবং পরবর্তীতে ৮ লক্ষ টাকা মোট ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আলোচনার এক পর্যায়ে তার স্ত্রী শিরিনা বেগমের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার স্বাক্ষরিত দুই লক্ষ টাকার দুইটা চেক ও নোটারি পাবলিক বাংলাদেশ পাবনা নন জুটিশিয়াল ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে ৮ লক্ষ টাকার ডকুমেন্টের মাধ্যমে স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে মোঃ মোস্তফা কামাল এর নিকট টাকা হস্তান্তর করে আমি চাকরি করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি। মোস্তফা কামালের কথামতো নামধারী উপশাখা অগ্রণী ব্যাংকে জয়েন করি এবং কিছুদিন পরেই জানতে পারি এটা অগ্রণী ব্যাংকের উপ শাখা নয়। এজেন্ট ব্যাংকিং মাত্র যা চাকরি জীবনের কোন নিশ্চয়তা রাখে না। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি মোস্তফা কামালের নিকট আমার দেওয়া টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য চাপ দিলে তিনি তা অস্বীকার করেন। এবং আমার বিরুদ্ধে থানায় এবং কোর্টে বিভিন্ন মামলা দেবেন বলে হুমকি দিয়ে ভয় দেখানোর পাঁয়তারা করছে। আমি এই সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে সাংবাদিকসহ দেশবাসীর সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং এই মোস্তফা কামাল ও তার স্ত্রী শিরিনা বেগমের মত প্রতারকের নিকট থেকে টাকা উদ্ধার সহ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন ।
এ বিষয়ে সাংবাদিক এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তির নিকট জিঞ্জাসা করলে নাম না জানাতে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি বলেন, মোঃ মোস্তফা কামাল ও তার স্ত্রী শিরনা বেগম প্রতারক চক্রের সদস্য তারা ইতি পূর্বে ও আমাদের এলাকায় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নামে জনগণের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমরা তাদের শাস্তি কামনা করি।
এ বিষয়ে মোঃ মোস্তফা কামালের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার স্ত্রী শিরিনা বেগম মোবাইল ফোন রিসিভ করেন এবং তিনি বলেন, আমরা জাহাঙ্গীর আলমের নিকট থেকে কোন টাকা নেইনি তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর আমার স্বাক্ষরিত যে ২টি চেক এবং নন জুটিশিয়াল স্ট্যাম্পে আমার স্বামী মোস্তফা কামালের স্বাক্ষরিত চুক্তিনামা দেখাচ্ছে আমাদের এখানে কোন স্বাক্ষর নেই এই স্বাক্ষর জালিয়াতি করানো আমরা তাকে কোন টাকা দিতে পারব না আমরা জাহাঙ্গীর আলমের নিকট থেকে কোন টাকা নেই নি।সে যদি আমাদের নিকট থেকে টাকা পায় তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন আইনে প্রমাণ হলে আমরা তাকে টাকা দিয়ে দেব বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
Leave a Reply