মো:মেহেদী হাসান (বগুড়া): বগুড়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ ৪ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৯০জন গুলিবিদ্ধ। তবে বগুড়ার পুলিশ সুপার নিহতদের সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে পারেননি।
নিহতদের মধ্যে ৩জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন: জেলার কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকার শামছুল হকের ছেলে কলেজ ছাত্র মনিরুল ইসলাম (২২), বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গোড়দহ এলাকার মৃত মোনা সরদারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪৫) ও দিনাজপুরের হিলির আনিছুর রহমানের ছেলে সেলিম (৪৫)। নিহত কলেজ ছাত্র মনিরুল ইসলাম নওগাঁর বদলগাছী বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। অপর দিকে সেলিম পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি বগুড়া শহরের হরিগাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতদের মধ্যে ৬৫জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপতালে এবং ১৫জনকে বগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১০জনকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এমপি ও আ’লীগ নেতাদের বাড়ি-ঘরে হামলা ভাংচুর, থানায় আক্রমণ
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ওই হাসপাতালে সন্ধ্যা পর্যন্ত আহতদের মধ্যে মোট ৭৩জন ভর্তি হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। নিহত ৩জনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া সেলিম নামে নিহত ব্যক্তির লাশ প্রথমে হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। কিন্তু সমর্থকরা পরে তার লাশ নিয়ে যায়। হাসপতালের কর্তব্যরত আনসাররা বাধা দিয়েও ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, ওই লাশ ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, ঠিক কতজন মারা গেছেন সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোন তথ্য জানা নেই।
Leave a Reply