1. [email protected] : Ghoshana Desk :
  2. [email protected] : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. [email protected] : Masud Khan : Masud Khan
প্রবাসী স্বামীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সম্পত্তি দখল করতে পাঁয়তারা - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
পাটলাই নদীতে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চুনাপাথর কয়লা সহ বিভিন্নপণ্যবাহী নৌযান থেকে খাস কালকেশন করছে সরকার সাটুরিয়া গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীর পরকীয়ার অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য শ্রাবণে সতেজ কাঠগোলাপ রাজশাহীতে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার পরিবেশ রক্ষায় ট্যুরিস্ট পুলিশের উদ্যোগে সোনারগাঁয়ে বৃক্ষরোপণ খুলনা নগরীতে ১৯ হাজার পিচ ইয়াবা সহ মাদক কারবারি আটক বিদ্যালয়ে না গিয়েও হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেন শিক্ষক আনোয়ার হোসেন মোল্লা কুড়িগ্রাম ১ আসনের, ধানের শীষ মনোনয়ন প্রার্থী, সাবেক ছাত্রনেতা, সারোয়াতলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পবিত্র হজ্ব শেষে কার্যক্রমে, নতুন উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রকাশ ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ দিন পর মায়ের কোলে ফিরল বিক্রি হওয়া শিশু

প্রবাসী স্বামীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সম্পত্তি দখল করতে পাঁয়তারা

reporter নিজস্ব প্রতিবেদক
calendar প্রকাশিত: ১৭ জুলাই, ২০২৪, ১:২৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সৌদি প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া আক্তার দখল ছাড়ছেন না প্রবাসী স্বামী দুলাল মিয়ার বাড়ির। প্রবাসী স্বামীর অভিযোগ তালাকের পরে আইন ও নিয়ম অনুযায়ী আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে তাঁর পাওনা মিটিয়ে দিলেও সে তা না মেনে আমার যাত্রাবাড়ী থানার ৩২/২৩/৪ নং মাতুয়াইল মৃধাবাড়ির (০৬) ছয়তলা বাড়িটি দখল করে রেখেছে।

জানাযায়, সৌদি প্রবাসী দুলাল মিয়া বিগত (২৮ এপ্রিল ২০১০ ইং) তারিখে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন আফছিয়া আক্তারকে। তাঁদের উভয়ই হবিগঞ্জ মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বিবাহের সময় কনে আফছিয়াকে স্বর্ণালংকার এবং আসবাবপত্র ও অন্যান্য বিষয়াদি সহ প্রায় ৯ লাখ টাকার সামগ্রী প্রদান করা হয়। বিবাহিত জীবনের কয়েক বছর পরস্পরের সাংসারিক জীবন সুখ শান্তিতে কাঁটে তাঁদের সংসার ঘর আলো করে একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। যার বর্তমান বয়স তের থেকে চৌদ্দ।

প্রবাসী দুলাল মিয়া ও আফছিয়া আক্তারের সংসারে কন্যা সন্তানটি জন্মের পরে তাঁদের সাংসারিক জীবন আরও সুখের হয়ে উঠে হঠাৎ করে এই সাংসারিক জীবনে নেমে আসে অশান্তির ছায়া। হঠাৎ করেই স্ত্রী আফছিয়া আক্তার প্রবাসী দুলাল মিয়ার বৃদ্ধ মা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও নানা দুর্ব্যবহার শুরু করেন। বিষয়টি টের পেয়ে প্রবাসী স্বামী স্ত্রীকে নানাভাবে বুঝিয়ে বলেলেও স্বামীর কথা কর্ণপাত না করে বরং তাঁর আচরণ আরো বাড়তে থাকে এছাড়াও প্রবাসী স্বামীর প্রতি ভালোবাসা হাড়াতে থাকে। স্বামী দুলাল মিয়া প্রবাস জীবনে ঘর থেকে বের হলেই জড়িয়ে পড়েন সমাজের নোংরা ও জঘন্য অপরাধ পরকীয়ায়। প্রবাসী স্বামী দেখবাল করে রেখে যাওয়া ব্যক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পরকিয়ায়। সেই পরকীয়া অন্য কারো সাথে নয় সম্পূর্ণ বাড়ি ও পরিবারের দেখভাল করার একমাত্র দায়িত্বে থাকা প্রবাসী স্বামীর আপন ভাগিনা ইব্রাহিমের সাথে। প্রবাসী স্বামী বিষয়টি জানতে পেরেও স্ত্রীকে নানা ভাবে বুঝাতে থাকেন কিন্তু স্ত্রী আফছিয়া স্বামীর কথা অমান্য করে আপন ভাগিনার সাথে পরকীয়ায় মেতে ওঠেন স্বামীর সরলতার সুযোগ নিয়ে বৃদ্ধ বয়সের শাশুড়িকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। প্রবাসী স্বামী এসব বিষয় নিয়ে বারবার স্ত্রীকে বুঝাতে আলাপ আলোচনা করলেও তাঁর কোনো পরোয়া না করে নিজের মতো চলাফেরা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রবাসী স্বামীর সাথে সামাজিক ও বৈবাহিক জীবনের ব্যত্যয় ঘটতে থাকে শেষ মুহূর্তে প্রবাসী স্বামীর সাথে তালাক। বৈবাহিক জীবনের সমাপ্ত ঘটলেও তা মানতেন না তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া আক্তার। প্রবাসী দুলাল মিয়া আবারও (১৩ ডিসেম্বর ২০২৩) সালে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তালাক দেন আফছিয়াকে কিন্তু তালাকের পরে প্রবাসী স্বামী সকল পাওনাদি বুঝিয়ে দিলেও তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া প্রবাসী স্বামীর দুলালের বাড়ি ছাড়ছেন না নানা কৌশল অবলম্বন করে প্রবাসী স্বামীর সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছেন। নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী চলাফেরা ও ঘনিষ্ঠতা আরো বাড়াতে থাকেন ইব্রাহিমের সাথে। প্রবাসী স্বামী দ্বিতীয়বার তালাকের যাবতীয় কাগজপত্র যথা নিয়মে পঠিয়ে দিলেও তা পাননি বলে অস্বীকার করেন তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া। তিনি প্রবাসী সাবেক স্বামী দুলাল মিয়াকে নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

সরেজমিনে আমাদের প্রতিবেদক প্রবাসী দুলাল মিয়ার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে তাঁর নিজ বাড়িতে উপস্থিত হন। আমাদের প্রতিবেদক উক্ত বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান প্রবাসী স্বামীর বাড়িটিতে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া এখনও বসবাস করছেন পাশাপাশি পুরো বাড়িটি তাঁর দখলেই রয়েছে। উক্ত বাড়িতে প্রবাসী দুলালের ভাগিনা ইব্রাহিম এবং তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়াকে একই সাথে বাড়িটিতে পাওয়া যায়।প্রবাসী স্বামীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী হয়েও এবং প্রাপ্ত পাওনা বুঝে নিয়ে সাবেক স্বামীর বাড়িতে কিভাবে এই বাড়িতে অবস্থান করছেন এবং কেন আছেন জানতে চাইলে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া বলেন, আমি আমার বাড়িতেই আছি কে আমাকে তালাক দিয়েছে এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তাছাড়া এই বাড়িতে আমার নামে (০২) দুইটি ফ্লোর রয়েছে। তাছাড়া আমার মেয়ের এই বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে। তিনি প্রবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে তুলে ধরেন নানান অভিযোগ। সেই সাথে তিনি আরও বলেন আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আগেই নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আমার মামলা করা আছে।

অভিযোগকারী প্রবাসী দুলাল মিয়া জানান, আইন ও নিয়ম অনুযায়ী আফছিয়াকে তালাক দেওয়া হয়েছে।তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়ার যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করেছি। আইন অনুযায়ী আমার নিজ বাড়িতে তাঁর থাকার কোন অধিকার নেই।

এবিষয়ে প্রবাসী দুলাল মিয়ার মা হাজেরা বেগম বলেন, বাবা আমার পুরো পরিবারই ধ্বংস করে দিয়েছে এই মেয়ে আফছিয়া। সে আমাকে মারধর করে আমার নিজ সন্তানের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে তাছাড়াও সে আমার মেয়েদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ ও দুর্ব্যবহার করেছে। আমার ছেলের অভিযোগ সব সত্য আমার ছেলের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া আমার নাতি ইব্রাহিম এর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত যা সমাজের চোঁখে অত্যন্ত জঘন্য ও নোংরা কাজ সমাজ তা কখনোই মেনে নিবে না। আমি আমার নিজ সন্তানের বাড়িতে বসবাস করতে চাই এবং আশাকরি আমার ছেলে প্রবাসী দুলাল মিয়ার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আফছিয়া আইন মেনে এবং তাঁর সম্মান বজায় রেখে সাবেক স্বামীর বাড়ির দখল ছেড়ে চলে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com