1. masudkhan89@yahoo.com : Ghoshana Desk :
  2. zunayedafif18@gmail.com : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. masudkhan89@gmail.com : Masud Khan : Masud Khan
বোয়ালখালীর ‘পাইন্যা কচু’ বেশি জনপ্রিয় - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম যাবে চীনের বাজারে, খুশি চাষিরা নওগাঁয় ১৭১৯ কেজি সরকারি চাল জব্দ অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থী’র মৃত্যু পীরগঞ্জে রাস্তা সংস্কার কাজের ঠিকাদারী পেলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী পলাতক আ’লীগ নেতা! কেসিসির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে মঞ্জুর করা মামলার শুনানি ৪ মে। বাবা-মেয়েকে অপহরণ করে নির্যাতনের দায়ে চাচা-ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা, প্রাণনাশের হুমকিতে পরিবার পলাশ উপজেলা বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা না করতে পেরে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। শিশুদের সাথে সব সময় ইতিবাচক আচরন করতে হবে, কেএমপি পুলিশ কমিশনার। গফরগাঁওয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বোয়ালখালীর ‘পাইন্যা কচু’ বেশি জনপ্রিয়

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৬৭ দেখেছেন

মুহাম্মদ আবু নাঈম,বোয়ালখালী: বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম  বোয়ালখালীতে বাড়ে ‘পাইন্যা কচুর’ আবাদ। এখানকার কচু দেশ পেরিয়ে বিদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত এক দশক ধরে এই কচু রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। উপজেলায় উৎপাদিত কচু স্বাদে-গুণে অনন্য হওয়ায় চাহিদা রয়েছে দেশের বাজারেও। তবে এবার প্রচণ্ড গরমের কারণে কচুখেত নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়ে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে এবছর ৩১৫ জন কৃষক ১৫০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ করেছেন। এর মধ্যে পানি কচু ৫০ হেক্টর, যা স্থানীয়রা পাইন্যা কচু বলে। স্থানীয় উন্নত জাতের কচু ৫২ হেক্টর, লতিরাজ ২৫ হেক্টর, বারি-১ জাতের কচু ৮ হেক্টর, বারি-২ জাতের কচু ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

কধুরখীল, সারোয়াতলী ও আমুচিয়া ইউনিয়নে কচুর ভালো ফলন হলেও পোপাদিয়া ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপে বেশ কিছু জায়গায় কয়েক শতক জমির কচু নষ্ট হয়েছে। এতে কচুখেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

খরণদ্বীপ এলাকার কৃষক মোহাম্মদ বাচ্চু ২ একর জমিতে কচু চাষ করেছেন। তিনি বলেন, প্রতি ৪০ শতক জমিতে ৪০হাজার টাকা খরচ হয়। তবে এবার কচু ভালো ফলন হলেও প্রচণ্ড গরমের কারণে ৬০-৭০ শতক জমির কচু নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি মাঠ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পেলে এ ক্ষতি রক্ষা পেত বলেও দাবি তাঁর।

কৃষি মাঠ কর্মকর্তা সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষতি শঙ্কা করছেন পোপাদিয়ার কৃষক মুহাম্মদ জসিম, মুহাম্মদ শফি, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ মুহাম্মদ সুজন।

উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা জমি থেকে কচু তুলে সড়কের পাশে সাজিয়ে রাখছেন বিক্রির জন্য। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসব কচু দরদাম করে নিয়ে যাচ্ছেন।

এসময় কথা হয় পাইকারী ব্যবসায়ী সাইফুদ্দীনের সাথে তিনি জানান, বিশেষ করে বোয়ালখালী পোপাদিয়া ও শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের কচু সুস্বাদু হওয়ায় প্রতি বছর অনেক টাকা কচু বিদেশে রপ্তানি করা হয়। তবে এবার কচু মান ঠিক না হওয়ায় বিদেশে রপ্তানি করা যাচ্ছে না। কৃষকদের প্রশিক্ষণের অভাবে কচু মান নষ্ট হয়ে যায়।

পাইকারি কচু ব্যবসায়ী আবুল হাশেম জানান, বোয়ালখালীর খরণদ্বীপ ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন থেকে কচু কিনে নগরের রিয়াজউদ্দীন বাজারে বিক্রি করি। সেখান থেকে ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বোয়ালখালীর কচু রপ্তানি করেন ব্যবসায়ীরা।

২০২০-২১ অর্থবছর থেকে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কচু উৎপাদনে বোয়ালখালীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ। তিনি বলেন, কচু চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দেওয়া হয় সহায়তা ও সার্বিক পরামর্শ। তবে সবাই একসাথে প্রণোদনা দেওয়া না গেলেও যোগাযোগ করলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

বোয়ালখালীতে সাধারণত মুখিকচু, পানিকচু ও লতিকচু- এই ৩ ধরনের কচু চাষ হয়ে থাকে। তবে পানিকচু ‘পাইন্যা কচু’ বেশি জনপ্রিয়। চাষিরা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কচু সরবরাহ করেন বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com