নান্দাইল প্রতিনিধিঃকামরুজ্জামান রুবেল: জাতীয় বা বিশেষ দিবস ছাড়া নান্দাইল খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় ও এলএসডি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয়ে ও উত্তোলন হয় না জাতীয় পতাকা।সরকারি অফিসের ভেতরে দিব্যি সকল দৈনন্দিন কাজ চলছে। কর্তা ব্যক্তিরাও বিভিন্ন দরকারি ফাইলে স্বাক্ষর করছেন- আলোচনা করছেন নানা বিষয়ে। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি।
বিষয়টি ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর মাধ্যমে অবমূল্যায়ন হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বাহক জাতীয় পতাকা।এদিকে পতাকা উত্তোলনের নীতিমালা নিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারণ মানুষ বলছেন, বহু আন্দোলন-সংগ্রাম আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা। এই পতাকার মাধ্যমে সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে। সেই জাতীয় পতাকা নিয়মিত উত্তোলন না করে সেটির অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ (সংশোধিত ২০২৩) এর ৬ ধারার উপ-ধারা (১) অনুযায়ী সরকারি ভবনসমূহে সকল কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা রয়েছে। একই বিধিমালার ৭ ধারায় পতাকার সম্মান বজায় রাখতে ২৬টি উপ-ধারার মাধ্যমে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই বিধিমালার ৮ ধারায় ৫টি উপ-ধারার মাধ্যমে সাধারণ নির্দেশাবলি দেওয়া হয়েছে।সংশোধিত বিধিমালার ৬ এর উপ-ধারা (১) এ বলা হয়েছে- ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন এবং অফিসসমূহ, যেমন- রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন প্রভৃতি, সকল মন্ত্রণালয় এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সচিবালয় ভবনসমূহ, হাইকোর্টের অফিসসমূহ, জেলা ও দায়রা জজ আদালত সমূহ, বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার/কালেক্টর, চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের অফিসসমূহ, কেন্দ্রীয় এবং জেলা কারাগার সমূহ, পুলিশ স্টেশন, [শুল্ক পোস্টসমূহ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এইরূপ অন্যান্য ভবন] এবং সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত ভবনসমূহে সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করা হইবে।’
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের কাজকর্ম চলছে দিব্যি কিন্তু উঠছে না জাতীয় পতাকা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন,আমাদেরকে স্যার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে কিছু বলে নাই। তাই আমরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি না।
নান্দাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীকে বলেন, হঠাৎ করে এই প্রশ্ন কেন ভাই! আমি এখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মিটিংয়ে আছি।এ বিষয়ে পরে কথা বলবো বলে এড়িয়ে যান বিষয়টি তিনি। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃআব্দুল কাদের এর মুঠো ফোনে একাধিক কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply