আজকে বেনজিরকাণ্ড, ছাগলকাণ্ডসহ কিছু বিষয় নিয়ে আমরা সরব। যেতে হবে শিকড়ে। কিছুর কর্মকর্তার পদে আসীন থাকারও সময়ই তিনি বিতর্কীত হোন। তখন কিছু বলার বা লেখার সাহস আমরা পাইনা। আজকে আমাদের মূল সমস্যার দিকে নজর দিতে হবে। কেনো এগুলো হচ্ছে!
রাজনীতি এখন আর রাজনীতিবিদদের কাছে নেই। আমলারা চাকরি শেষ করেই রাজনীতিতে যোগদান করছেন। যোগদান করেই মোটা অর্থের বিনিময়ে এমপি বনে যাচ্ছেন। কোথায় তাদের তাদের উৎস। তাদের অর্থের দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন দলের ত্যাগী নেতারা। যারা দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জেল-জুলুম সহ্য করে সংগঠনে ত্যাগ শিকার করে তাদের প্রয়োজন সেই আমলাদের চেয়ে নগন্য হয়ে পড়ে।
আমলারাও রাজনীতি করার টার্গেট নিয়ে অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। কারণ তারা জানে টাকা দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে পদ কেনা যায়, এমপি হওয়া যায়। ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ সহ অনেক উর্ধ্বতন কর্মকতা চাকরি শেষ করেই এমপি হয়ে গেছেন। একজন চাকরীজীবি বৈধপথে কথা টাকা সঞ্চয় করতে পারে তা অনুমেয়। কিন্তু রাজনীতিতে আসার সুবাধে তাদের সম্পদের হিসেব অধরাই রয়ে যায়।
রাজনীতিবিদদের হাতে রাজনীতি না থাকার কারণেই দেশে রাজনৈতিক চর্চা হচ্ছে না, হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক চর্চা। যার কারণে রাজনীতি থে্কে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারকরাও দলের পোড়খাওয়া সিনিয়র নেতাদের সাইড লাইনে রেখে সে আমলা ও ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদেরই প্রাধান্য দিচ্ছেন।
একজন আমলা যখন রাজনীতি আছেন তারা গণতন্ত্রের অন্তরায় হয়ে দাড়ায়। তারা তখনও নিজেদের সেই সিনিয়র কর্মকর্তার মতো নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তখনই দলের তৃণমূল নেতাদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। সংগঠন বিকশিত হতে বাধাগ্রস্ত হয়।
Leave a Reply