এস.এম.জয়বগুড়া: (বাম দিক থেকে) সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু, সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু ও শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমু,
বগুড়ার চাঞ্চল্যকর শরিফ ও রুমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু, তার ছোট ভাই বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু ও বগুড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমুসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা রিফাতসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ১৮ই জুন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত বারোটার দিকে এ- মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত), মো,শাহিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো নিশিন্দারা খাঁ পাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে শেখ সৌরভ (২৩), সুলতানগঞ্জ পাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আজবিন রিফাত (১৯) ও নিশিন্দারা খা পাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নাঈম হোসেন (২৬)। এর আগে ১৮ জুন মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন ১৭ই জুুন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার হাকির মোড় এলাকায় একমুখী একটি সড়কে একটি প্রাইভেট কার দাঁড় করিয়ে রাখেন বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সার্জিল আহমেদ টিপুর মেয়ে। এ সময় ঐ পথ দিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল ৬ জন যুবক। সেখানে রাস্তা দখল করে প্রাইভেট কার রাখায় ওই যুবকরা ক্ষুব্ধ হয় এবং এ নিয়ে টিপুর মেয়ে ও গাড়ি চালকের সাথে তাদের তর্ক বিতর্ক হয়। এসময় টিপুর মেয়েকে চরম উত্ত্যক্ত করা হয়। এতে টিপুর মেয়ে অপমানিত বোধ করেন। পরে তিনি বিষয়টি তার বাবার টিপুকে জানালে প্রতিশোধ নিতে টিপু ও তার লোকজন ওই যুবকদের খুঁজে বের করে হত্যার পরিকল্পনা করে। এই ধারাবাহিকতায় ঐদিন রাত একটার দিকে টিপুর নেতৃত্বে তার বড় ভাই সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ মো,মেহেদী হাসান হিমু সহ ১৪-১৫ জন যুবক নিশিন্দারা চকর পাড়ায় যায়। এরপর শরিফ (১৮), রুমন (১৯) ও হোসেন (১৯) কে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তাদের উপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ হয় এবং ধাওয়া করে কুপিয়ে শরিফ ও রুমনকে হত্যা করে। সেইসাথে এসময় পালানোর সময় হোসেনকে গুলি করা হয়। হোসেন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে পুলিশ রাত দেড়টার দিকে নিশিন্দারা চকর পাড়ায় সরকারি মোস্তফাবিয়া মাদ্রাসার পিছনে ইউক্যালিপ্টাস বাগানের গলি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
এ- ব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার “জাতীয় দৈনিক ঘোষণা” -কে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সব আসামিকে গ্রেফতার করা হবে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
Leave a Reply