আর এ লায়ন সরকার নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র ৩ দিন বাকি। নরসিংদীর করিমপুর বাজার পশুর হাট ধীরে ধীরে জমে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে পশু বিক্রি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর মাঝারি সাইজের গরুর বেচাকেনা বেশি ছিল। তবে এবার ক্রেতা মানেই নজর ছোট গরুতে। তবে খাসি ছোট-বড় সব সাইজেই বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, শুক্রবার থেকে কেনাবেচা ব্যাপক জমবে বলে বিক্রেতারা জানান। তারা বলছেন, এবার প্রতিটি খামারেই অনেক গরু রয়েছে। তাদের ধারণা চাহিদার চেয়ে এবার গরু বেশি। তবে করিমপুর বাজার গৃহস্থের গরু বেশি, নেওয়া হচ্ছে না কোন ইজারা আজ শুক্রবার ,৩৪০০ গরু বিক্রি হয়েছে কোনরকম ইজারা ছাড়াই। ক্রেতা বিক্রেতাদেরকে কিছুক্ষণ পর পর চা কোমল পানি দেওয়া হচ্ছে ফ্রিতে।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু-ছাগল আসছে। তবে বেচাকেনা হচ্ছে ক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে। ক্রেতাদের অনেককে দর কষাকষি করতেও দেখা গেছে।
করিমপুর হাটে এসে এক ক্রেতা বলেন, ব্যাপারীরা গিরস দাম বেশি চাচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটে আছি। বাধ্য হয়ে দেড় লাখ টাকার গরু এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হলো তবে গরু কিনে আমরা খুশি কারণ কোনরকম ইজারা দিতে হয়নি ধন্যবাদ জানাই চরের অভিভাবজলুল মনির স্যারকে।
ব্যাপারীরা বলছেন, গরুর খাবারের দাম সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একটা গরু হাটে আনতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খরচও হয়। তাই গরুর দাম একটু বেশি। গরুর দামের বিষয়ে ক্রেতাদের কোনো ধারণা নেই।
তারা বলেন, শুরু থেকেই ক্রেতার আগ্রহ দেখছি ছোট গরুতে। আজ অনেকে দেখে দাম-দর করে যাচ্ছেন। কাল তারাই কিনে নিয়ে যাবেন। কয়েকজন তো আগাম অর্ডার দিয়ে গেলেন।
করিমপুর বাজার হাটের ছাগলের শেডে গিয়ে দেখা যায়, শত শত ছাগলে ভরে গেছে হাট। দাম-দরে হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে খাসি। বিশ্বাস স্থাপনের জন্য খাসির দাঁত বের করেও দেখাচ্ছে বিক্রেতারা। এবার ৬ হাজার টাকায়ও খাসি মিলছে। ইজারাদার সরদার অহিদুল ইসলাম আমাদের প্রতিনিধিকে জানান আমাদের অভিভাবক চোরের কৃতি সন্তান আফজালুল মুনির দশ বছর ধরে উক্ত বাজারটি ইজারা ফ্রি করে দিয়েছেন।
সাবেক ইউপি সদস্য টুটুল আমাদের প্রতিনিধির সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান আমরা গর্ববোধ করতে পারি আমাদের একজন অভিভাবক আছে তিনি হল আফজালুল মুনির তিনি আমাদের এই বাজারটিকে ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিয়েছেন কোন টাকা দিতে হয় না এখান থেকে গরু খাসি কিনলে।
দিলালপুর থেকে আসা একজন ক্রেতা জানান আমি ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করেছি , করিমপুর ব্যতীত অন্য কোন বাজারে গেলে ১০ হাজার টাকার উপরে ইজারা দিতে হতো কিন্তু এ বাজার থেকে আমি ফ্রি গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
পুরো বাজারে ক্রেতা এবং বিক্রেতা ইজারা না থাকায় গরু কিনে ও বিক্রি করে প্রশংসায় পঞ্চমুখ আফজলুল মনির সাহেবকে নিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে এটি একমাত্র বাজার যেখানেই ইজারা দিতে হয় না।
এদিকে, এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বিশাল চাহিদা মেটাতে দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদিপশু রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যানুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশে এক কোটি ১০ লাখ কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদার তুলনায় দেশে এখন বাড়তি প্রায় আট লাখ পশু অর্থাৎ দেশে এখন প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি পশু প্রস্তুত আছে।
Leave a Reply