এস.এম শহিদুল ইসলাম (বাবলু):নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
লালমনিরহাটে এবার ধান চাষের বাম্পার ফলন হলেও অধিক হারে খরচের কারনে কৃষকরা রয়েছে দুশ্চিন্তার মুখে। চলতি বছরে ইরি বোরো মৌসুমে কৃষকদের সর্বোচ্চ খরচের বছর। সেচ জ্বালানি ডিজেল ঔ বিদ্যুৎ খরচের দাম ছিল তূলনা মূলক ভাবে অনেক বেশি। এফআইআর রে খরার কারনে ধান চাষে সেচ দিয়ে পানি দিতে হতো ফসলি জমিতে।একই সংগে বেরে গেছে সার ও কীটনাশক সহ বেরে গেছে শ্রমিকের দিন মুজুরীর পরিমান।সেই দিক থেকে কৃষকরা ধান চাষ করে পাচ্ছেনা ধানের বাজার মুল্য এতে একাধিক ধান চাষী কৃষকরা জানান প্রতিবছরের চেয়ে এবছর ধান চাষ করে প্রতি মন ধানের পিছনে খরচ হচ্ছে ১হাজার টাকারো বেশি মন প্রতি।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকাতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ধান চাষে খরচের তুলনায় মন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-৯৮০ দামে। এতে চাষীরা পুঁজি নিয়ে খাচ্ছে হিমশিম।এসকল খরচ নিয়ে বিষয়ে চিন্তা করে একাধিক চাষী দাবী করে বলে গত বছর ১বিঘা বা ৩ ৩ শতাংশ জমি ধান চাষ করে খরছ হতো ১১-১৩হাজার টাকা এবছর খরচের পরিমাণ বেশি হলে খরচের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১৪-১৬হাজার টাকার বেশি।এসকল খরচ নিয়ে ধান চাষীরা পুঁজি নিয়ে আছেন চিন্তার মাঝে।
লালমনিরহাট জেলা আদিতমারী উপজেলার ৫নং সাপ্টীবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পূর্বদৈল জোর এলাকার এক ধান চাষী মোঃ ভন্ড করিম মন্ডল জানান এ বছরে অনেক কৃষক ধার দেনা করে ধান চাষ করেছেন সার ডিজেল ও কীটনাশক সেচ এবং শ্রমিকের দাম বেরে যাওয়ার কারনে ধান চাষীরা ধান চাষ করে পুঁজি নিয়ে পরেছে বড় বিপাকে। বর্তমানে ধানের বাজার হিসাবে প্রতি মন ধান বিক্রি করতে হচছ ৯৫০-৯৮০টাকা দরে যেখানে ১মন ধান চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১হাজার টাকার উপরে। এতে পাওনাদারদের দারের টাকা দিতে হচ্ছে কম দামে ধান বিক্রি করে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জানান এবছর প্রতি কেজি ধানের মুল্য দিয়েছে ৩৩টাকা এতে প্রতি মন ১২৮০টাকা। এতে কিছু অসাধু ধান ব্যবসায়ীদের কারনে ৯৫০-৯৮০ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ধান।
ভেলাবারী ইউনিয়নের ফলিমারীর লিটন জানান আমার জমিতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও অধিক হারে খরচের কারনে আমরা ধানের দাম পাচ্ছি না।
আশেপাশের জমি গুলোতেও ভাল ফলন হলেও কিছু কিছু অসাধু ধান ব্যবসায়ীদের কারনে ৯৫০-৯৮০ দামে বিক্রি করে দিতে হচছ পাওনাদারদের পাওনা টাকা।। একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান গত বছরের চেয়ে এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধানচাষীদের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছেনা কারন গত বছরের তুলনায় এবছর ধান রোপন থেকে শুরু করে ধান মারাই পর্যন্ত বিঘা প্রতি প্রায় ৪-৬টাকার বেশি খরচ বেশি লাগতেছে এতে প্রতিটা ধানচাষীরা তাদের পুঁজি দিয়ে খরচের পরিমাণ পোষাতে পাচ্ছেন না বলে দাবি করেন।
অপর দিকে লালমনিরহাট ধান অধিদপ্তরের সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) এবিএম আরিফুল হক দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা “” এস এম শহিদুল ইসলাম বাবলু কে বলেন. আমার এ বিষয়ে জানা ছিল না. তবে ধানচাষীদের যাতে লোকসান না হয় এজন্য ধানের বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অপর দিকে লালমনিরহাটে কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা যায় এবছর ধান চাষী কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ ও কীটনাশক বিতরন করা হয়েছে।
Leave a Reply