নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের ( বিসিআইসি ) ৫৬১ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নরসিংদী-২ পলাশের সাবেক এমপি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্সের মালিক কামরুল আশরাফ খান পোটন সহ পাঁচজনের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। ১৫ মে বুধবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো অপর আসামিরা হলেন-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্সের মহাব্যবস্থাপক মোঃ শাহাদত হোসেন নিপু ও মোঃ নাজমুল আলম বাদল , পোটন ট্রেডার্সের উত্তরবঙ্গ প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন এবং খুলনা ও নওয়াপাড়ার প্রতিনিধি মোঃ আতাউর রহমান। জানা যায় , আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার সরবরাহের জন্য আমদানি করলেও চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে চুক্তির সার বাফার গুদামে না দিয়ে ৫৬১ কোটি ৫৮ লাখ ৯ হাজার ৬৪ টাকার – ৭১ হাজার ৮০১ টন ৩১ কেজি সার আত্মসাৎ করেছেন। এতে আরও বলা হয় , কামরুল আশরাফ খানের মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্স ৫০ দিনের মধ্যে সার গুদামে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। সেটা না করে সার ট্রানজিটে রয়েছে বলে বিসিআইসিকে মিথ্যা তথ্য দেন।
এ অভিযোগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর দুদকের ( ঢাকা ) সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। জানা যায় , এ পোটন খান নৌকার মাঝি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন আন্ডার গ্রাউন্ড পন্থায়। তার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ( হিন্দু ) সম্পত্তি দখল , ঘোড়াশাল রেল লাইন সংলগ্ন পরিত্যক্ত লাইনের সাথে তৎকালীন এ বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বরাবর অভিযোগ হয় কিন্তু রহস্যজনক কারণে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। প্রতিটি ট্রাক ঘোড়াশালে সারের জন্য ঢুকলে প্রাণ কোম্পানির বিভিন্ন জোট মিলের এবং সার কারখানার পিডিবির গাড়ি প্রতি পোটন এবং তুষার বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয় যাহা বিভিন্ন পত্রিকায় ও নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। সার কারখানার প্রতি বস্তা সার থেকে জোর পূর্বক টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে এবং সার কারখানা পিডিবি সকল লেবার চড়া দামে চাইনিজ কোম্পানি তাদের কাছ থেকে নিতে হয় পোটন ট্রেডার্সের কাছ থেকে লেবার না নিলে কন্ট্রাকটরের মালামাল চুরি হয় এবং ম্যানেজার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদেরকে লাঞ্ছিত করে। জানা যায় , সে একজন মাফিয়া ডন তার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। নরসিংদীতে তার মূল ব্যবসা জোর করে ভোট মারা , শিবপুরে ভোট মারতে গিয়ে এই বছর লাঞ্চিত হয়। উপজেলা নির্বাচনে সে সৈয়দ জাবেদ হোসেনের ১০ টি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন। নেতৃত্ব দেন মেয়র তুষার ও ঠিকাদার কামাল। এ ঘটনায় ২০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছেন পাশাপাশি তার কারণে মেহের পাড়া , পাঁচদোনা , আমদিয়ায় এবং ডাঙ্গা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতা চলছে। পলাশে সন্ত্রাসীর গডফাদার পোটনের সেনাপতি হিসেবে কাজ করেন মেয়র তুষার। তুষার বাহিনী পলাশের সকল ঠিকাদারি , জোর করে চাঁদা আদায় , রাজনীতি পরিচালনা করেন এবং বিরোধীদলকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দমন করেন। মেয়র তুষার পলাশের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি সারকারখানা থেকে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি বিভিন্ন মানুষকে নির্যাতন এবং এক চেটিয়া প্রাণ কোম্পানিতে ও বিদ্যুৎ এবং সার কারখানায় ব্যবসা করছেন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে নেমে আসে নির্যাতন অত্যাচার। বর্তমানে সে নরসিংদী জেলার অঘোষিত যুবরাজ। পোটন রাজা তুষার যুবরাজ স্বঘোসিত রাজা পোটন গ্রেফতার হওয়ার পর তুষারের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন পলাশের অগনিত মানুষ। এক নেতা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাদের বিচার হয়েছে এবং শত শত মানুষ লিখছে আলহামদুলিল্লাহ তারা দাবি জানিয়েছেন রাজার পাশাপাশি যুবরাজকে আইনের আওতায় আনা হউক। বর্তমানে পলাশ উপজেলা ও নরসিংদী সদরের তিনটি ইউনিয়ন পোটন তুষার বাহিনীর কাছে জিম্মি। মামু ভাগিনা বাহিনী নরসিংদী জেলায় জোর জবরদস্তিতে দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই ব্যাপারে ডক্টর মঈন খান বলেন পোটন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে তারা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্বাচনী ভোট ডাকাতি এবং মোটরসাইকেলে হামলা অগ্নি সংযোগ করে তাদের মূল নায়ক পোটন গ্রেফতার হয়েছে এখন তার ধোষর তুষারকে আইনের আওতায় আনা হোক।
Leave a Reply