নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ ফারুকুল ইসলাম :
বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম দেশেই জাতীয় মসজিদ রয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন নাম। আমাদের জাতীয় মসজিদের নাম বাইতুল মোকাররম। যার অবকাঠামো কাবা ঘরের আদলে নির্মিত এবং বাহ্যিক নান্দনিকতা অতুলনীয়। আন্তর্জাতিক ভাবেও যথেষ্ট খ্যাতি আছে এই মসজিদের। প্রায় সাড়ে আট একর জমির উপর অবস্থিত মসজিদটি পাকিস্তান প্রিয়ড থেকেই মাথা উঁচু করে দেশের সকল মসজিদের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। আয়ের উৎসেরও কোনো কমতি নেই । মসজিদের চারিপাশে প্রায় সহস্রাধিক দোকান রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় শত শত কোটি টাকা আয় হয় প্রতি মাসে । তাছাড়াও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুদানতো আছেই। বর্তমানে মসজিদটি পরিচালিত হয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউণ্ডেশন এর তত্বাবধানে। ইসলামিক ফাউণ্ডেশনও পরিচালিত হয় এই মসজিদ থেকেই, রাষ্ট্রিয়ভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে এই মসজিদ । দেশের বাইরে থেকেও বহু পর্যটক আসেন এই মসজিদ ভিজিট করতে, এর নান্দনিক অবকাঠামো পর্যটকদের ভীষণ ভাবে আকৃষ্ট করে থাকে । প্রতি শুক্রবার প্রায় চল্লিশ হাজারের বেশি মুসল্লী এই মসজিদে একসাথে জুমার নামাজ আদায় করেন।
মসজিদের ঐতিহ্যের কারণে অনেক দূর দূরান্ত থেকেও মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করতে আসেন এখানে। তাছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেও প্রতিদিন অনেক মুসল্লি হয়। উল্লেখ্য যে, এটি পৃথিবীর দশম বৃহত্তম মসজিদ হিসাবে পরিচিত। সারা বিশ্বে এটি বাংলাদেশের গৌরব উজ্জল পরিচয় বহন করে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, নির্দিষ্ট কতিপয় স্থানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা ছাড়া পুরো মসজিদটি চলে সিলিং ফ্যান দ্বারা। তাও আবার ফ্যানগুলো এতো উঁচুতে যে, সব ফ্যানের বাতাস মুসল্লীদের শরীর পর্যন্ত এসে পৌঁছেনা। তাতে গরমের দিনে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। এতে আমি মনে করি মসজিদের ঐতিহ্যের কিছুটা হলেও সুনাম ক্ষুন্ন হয়। তাছাড়া মসজিদের চারিপাশে প্রতিনিয়ত যে অবৈধ দোকান পাটের বানিজ্য বসে তাতে মসজিদের নান্দনিক সৌন্দর্য প্রচণ্ডভাবে খর্ব হয়। মসজিদের উত্তর গেটেতো দৈনিক বাংলার মোড় থেকে পল্টন মোড় পর্যন্ত নানাা অজুহাতে বহু বছর যাবত ফুটপাতই নেই, উপরন্ত অবৈধ দোকান পাটের জন্য সাধারণ মানুষের হাটা চলা করতে খুব কষ্ট হয়। জানিনা দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাতের এ বেহাল অবস্থার কারণ কি ? কোন অপশক্তির করালগ্রাসে আবদ্ধ হয়ে আছে এই ফুটপাত। বছরের পর বছর মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়, কিন্তু মুসল্লীদের কষ্ট থেকেই যায়।
তাই মসজিদ কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি গুরত্বের সাথে মনোযোগ দিলে এর একটি স্থায়ী সুরাহা হতে পারে। সেই সাথে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যার একটি সমাধান হওয়া সম্ভব । আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে এনে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের কষ্ট লাঘবের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন
Leave a Reply