বগুড়া থেকে, এস.এম.জয়: বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকার ভাটকান্দি ব্রিজের কাছে রোববার (২৮শে এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে একটি বাড়ির তিনটি ঘরের চালা উড়ে গেছে। ধসে পড়েছে ঘরের দেওয়ালও। এর মধ্যে একটি ঘর ধূলিস্মাৎ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশের আরও কয়েকটি ঘরের দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র।
এ- ঘটনায় তিনজন শিশু আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিজেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণের কারণে এই ধ্বংসাত্মক ঘটনাটি ঘটলেও কীভাবে তা হলো তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তিন শিশু হলো আলী হোসেনের মেয়ে তাসমিন বুশরা (১৪) রেজাউল করিমের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৫) ও রাশেদুল ইসলামের ছেলে জিম (১৬)। তারা ওই বাড়িতেই বসবাস করে বলে জানা গেছে।
এ- ব্যাপারে বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম “জাতীয় দৈনিক ঘোষণা ” -কে জানান, রাত ৯টা ৭ মিনিটের দিকে তারা খবর পাম ষে, সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে। এ- খবর পেয়ে তারা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে দেখেন যে বাড়িটি বিস্ফোরণের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিছু আসবাবপত্র ঝলসে গেলেও আগুন লাগেনি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ার খবর পেয়ে তারা সেখানে গেলেও সেখানে সবগুলো সিলিন্ডার অক্ষত দেখা গেছে বলে তিনি জানান। এ- অবস্থায় ওই বাড়ির মালিক রেজাউল করিম তার কাছে স্বীকার করেন যে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তারা মাঝে মাঝে পটকা বানিয়ে থাকেন।
এ- জন্য মজুদ থাকা বারুদ বা অন্যান্য বিস্ফোরক প্রচন্ড গরমে বিস্ফোরিত হতে পারে। সিনিয়র স্টেশন অফিসার বলেন প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দূরে তাদের ফায়ার স্টেশন। ওই বিস্ফোরণের শব্দ এতোটাই তীব্র ছিল যে তারা ওইখান থেকে এর শব্দ শুনতে পেরেছেন। প্রথমে এই শব্দটা কিসের তা তখন বোঝা যায়নি।
ওই বাড়ি থেকে প্রায় ২শ’ গজ দূরে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর বাসভবন। তিনি বলেন বিস্ফোরণটা এতই তীব্র ছিল যে তার এর টুকরোর আঘাতে তার বাড়ির চারতলার জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারাও তাৎক্ষণিকভাবে এ- ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
Leave a Reply