নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সবুজবাগ থানা থেকে স্বল্প দূরত্বে ওহাব কলোনির মসজিদ সংলগ্ন বাতিঘর নামক চা-পান ও মোবাইল অ্যাক্সেসরিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দশ বছর যাবত চালিয়ে আসছে হালিমা আলম দম্পতি । নিরীহ প্রকৃতির হালিমা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে বেঁচে থাকার সংগ্রামের জীবন, প্রতিবেশী সকলের নিকট প্রশংসনীয় বলে সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ।
ওহাব কলোনী এলাকায় থানায় তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী গ্রুপের এক সদস্য শিখন অপর সদস্য হিরণ রমজান মাসে গত ৪/৪/২৪ ইং আনুমানিক দুপুর বারোটার সময়, হালিমার দোকানে গিয়ে চা চাইলে , চা নাই বলার পর, শিখন অন্য দোকান থেকে চা নিয়ে এসে হালিমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে, গালিগালাজ করার কারণ জিজ্ঞেস করা মাত্রই শিখন তার কোমরের প্যান্টের বেল্ট খুলে হিরনসহ হালিমাকে বেধড়ক মারপিট করছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান ।
মারপিট করে দোকানের তছনছ করার পর হালিমা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আশপাশের লোকদের সহায়তায় হালিমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পর গতকাল ৫/৪/২৪ ইং রাত আনুমানিক আটটায়, সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রলয় বাবুকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ঘটনার বর্ণনা শুনে জরুরী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপ পরিদর্শক লিটন মিয়াকে দায়িত্ব প্রদান করেন ।
তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কে উপ পরিদর্শক লিটন মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ওই মাদক ব্যবসায়ী গ্রুপ এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
অসহায় হালিমা চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান। বিষয়টির প্রতি ডিএমপি কমিশনার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অসহায় দোকানি হালিমা সহ এলাকার সাধারণ মানুষ । বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে ।
Leave a Reply