নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসেন দলটির এই দুই শীর্ষ নেতা।
একইদিনে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি’র আরেক কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
সকাল থেকেই কেরাণীগঞ্জে কারাগারের সামনে ভিড় করছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। কারামুক্ত হওয়ার পর নেতাদের শুভেচ্ছা জানান তারা।
গত বছরের ২৮ই অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচির পরপর গ্রেফতার হয়ে সাড়ে তিন মাস বন্দি ছিলেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু।
আর, এ্যানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অক্টোবরের ১০ তারিখে।
২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি ও তার ধারাবাহিকতায় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ১১টি মামলায় আসামি করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ১০টিতে তিনি আগেই জামিন পেয়েছিলেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১০ মামলার আসামি। এর মধ্যে নয়টিতে জামিনপ্রাপ্ত ছিলেন।
সর্বশেষ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বুধবার আদালত তাদের দু’জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশ করেছিল বিএনপি।
ওই সমাবেশের পর সংঘর্ষের বিভিন্ন ঘটনায় পর দিনই ২৮টি মামলা হয়।
এসব মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। একেকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া, হাসপাতালে আগুনসহ নানা অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
গ্রেফতার হন বিএনপির মহাসচিব-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
এছাড়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, শাহজাহান ওমর, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাহবুব উদ্দিন খোকন-সহ শীর্ষস্থানীয় সব নেতার বিরুদ্ধেই ২৮শে অক্টোবরের ঘটনায় নাশকতার মামলা হয়।
Leave a Reply