নিউজ ডেস্ক
সংবিধান বাস্তবায়ন, সঠিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন শীর্ষক র্যালী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে জনপার্টি। ২০ নভেম্বর (সোমবার) সকাল ১০.৩০ মিনিটে মৌচাক মোড় থেকে প্রেসক্লাব পর্যন্ত র্যালি করে সকাল ১১.০০ টায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জনপার্টি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জনপার্টির চেয়ারম্যান হৃদয় চৌধুরী, মহাসচিব মো: সালাউদ্দীন সোহাগ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: ইকবাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো: মুনতাসির মামুন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এস এম আশরাফুল ইসলাম, ত্রাণ ও দুযোর্গ বিষয়ক সম্পাদক মো: বুলবুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো: শাকিল প্রধান, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সোহাগ তরফদার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো: মেহেদী মাসুদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, জনপার্টি দীর্ঘ ছয় বছর যাবত রাজপথে থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদেরকে তৈরীর পাশাপাশি গণ মানুষের পাশে থেকে স্বাধীনতার স্বপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে আজ ২০ তারিখ জনপার্টির সকল নেতা কমীর্রা রাজপথে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার। বর্তমান দেশ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রেখেছে তা আজ বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে যে উন্নয়ন বা সুফল বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ নিচ্ছে তা আগে কখনোও দেখেনি। তফসিল অনুসারে আগামী ৭ই জানুয়ারী ২০২৪ইং জাতীয় নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। উক্ত নির্বচন সঠিক ও সুষ্ঠ হবে তা জনপার্টি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। এই নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনপার্টি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সাথে কাজ করবে এবং সাথে থাকবে। এমতাবস্থায় দেখা যাচ্ছে কতিপয় স্বার্থানেষী রাজনৈতিক দল তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য হরতাল, অবরোধ, অগ্নি—সংযোগ, হত্যা, খুন, ভাংচুরের মত জঘন্যতম রাষ্ট্র বিরোধী কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করছে।
তাঁরা আরো বলেন, জনপার্টি বিশ্বাস করে সংসদে আসার জন্য নির্বাচনের বিকল্প নাই। রাজপথে কাপুরুষের মত চোরাগুপ্তা হামলা করে সাধারণ জানমালের ক্ষতি করে, হত্যা, আগুন, ভাংচুর করে কখনোই জাতীয় নিবার্চনে আসা যাবেনা এবং সাধারণ জনগণ কখনই তাদের ভোট দিবেনা। যদি আন্দোলন করতে হয় তবে সংবিধানের মাধ্যমে নির্বাচন করে জনগণের অধিকার আদায় করতে হবে। সাধারণ জনগণ বুঝে গেছে এই কয়দিন হরতাল অবরোধে ১৭০টি গাড়ি পুড়িয়েছে। যা কখনই কাম্য নয়। জনপার্টি চায় আগামী ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ইং নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এসে ঐ সব সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে কঠিনতম শাস্তির আওতায় আনা হোক। এরা দেশের শত্রু ও জাতির শত্রু। এরা এদেশের উন্নয়নকে হিংসা করে। এই দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধে একই পরিবারের ১৮ (আঠারো) জন সহ মোট ২৬ (ছাব্বিশ) জন জীবন দিয়েছিল যাদের হত্যা করেছিল এই সন্ত্রাসী বাহিনী। আমার জানা মতে একই পরিবারের ২৬ (ছাব্বিশ) জন হত্যা অন্য কোথাও ঘটেনি যা ঘটেছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারে। তাহলে যে পরিবারে স্বাধীনতার জন্য ২৬ (ছাব্বিশ) জন একসাথে জীবন দিতে পারে তাহলে সে পরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ উন্নতির স্বর্ণ শিখরে পৌছাতে পারে। এটা জনপার্টি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। যারা রক্ত দিয়েছে এদেশের জন্য তারা এই দেশটিকে উন্নতির স্বর্ণ শিখরে নিয়ে যেতে পারে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জনপার্টির দাবি সঠিক সময়ে জাতীয় নিবার্চনের মাধ্যমে এই জাতি নতুন উন্নয়নের দিকে ধাবিত হবে। সারা বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া গণ মানুষেরা স্বাধীনতার শক্তির পক্ষে এলাকা, মহল্লা, পাড়া, শহর, গ্রাম, বন্দরে, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি “জোট” করে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিহত করুন। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে আছেন এবং আরো উন্নয়ন চায়। অগ্নিসংযোগ, জালাও—পোড়াও, করে সাধারণ জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবেনা। আমরা দেখছি কতিপয় স্বার্থান্বেষী দল তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই যদি তফসিল বয়কট করতে হয় তাহলে পদ্মা সেতুতে উঠা বন্ধ করে দিন, উড়াল সেতুতে উঠা বন্ধ করুন, মেট্রোরেলে উঠা বন্ধ করুন। আপনারা দেশের খাবেন, দেশের পড়বেন আবার দেশের সাথে রাষ্ট্রদ্রোহীতা করবেন এটা কখনই হতে পারেনা। এদেশের জনগণ কখনই এটা মেনে নিবে না।
Leave a Reply