নিউজ ডেস্ক
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিন রোববারও অব্যাহত ছিল। শনিবার হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলে প্রবেশ করে বেশ কিছু বসতির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই হামলার ঘটনায় গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল।
বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইসরাইলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধ শুরুর জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অনুমতি দিয়েছে। এর পর গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। তবে হামাসও সাধ্যমতো প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে। ফলে রোববার দুই পক্ষে হতাহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।
ইসরাইল স্বীকার করেছে যে, হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭০ জনে। তবে সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা জানা মুশকিল। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার (৭ অক্টোবর) গাজা থেকে ইসরাইলে অনুপ্রবেশ করা হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে রোববারও অভিযান অব্যাহত রাখে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, দক্ষিণাঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের দখল করা ২২টি স্থান সুরক্ষিত করা হয়েছে। তবে এখনও তারা ৮টি স্থান দখল করে রেখেছে। এগুলো মুক্ত করতে সংঘর্ষ চলছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, রোববার সকালে গাজার কাছাকাছি ইসরাইলি বসতিতে গোলাগুলি হয়েছে। অ্যাশকেলন শহরের কাছে ইসরাইলি সেনারা একটি চুরি করা গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীকে ধাওয়া করে। পরে একটি প্রধান সড়কে নাটকীয় বন্দুকযুদ্ধে তাদের হত্যা করেছে।
এদিকে গাজা সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় বসবাসরত ইসরায়েলি বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply