বিনোদন প্রতিবেদক
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে অন্যতম হল বাঙালির ‘দুর্গোৎসব’। বাঙালির জীবনে দুর্গোৎসবের এই আনন্দকে আরো রাঙিয়ে দিতে অগ্রপথিক হিসেবে এদেশের ফ্যাশন ইন্ডাষ্ট্রিতে ফ্যাশনে ‘দুর্গোৎসব’ নিয়ে প্রথম কাজ শুরু করেন ১৯৯৪ সালে প্রখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ‘বিপ্লব সাহা’, তার জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিশ্বরঙ’ এর মাধ্যমে। যা অনুকরনীয় হয়ে চলছে এখনও। যদিও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে এখন অনেকেই ‘দুর্গোৎসব’ নিয়ে কাজ করেন যা সে সময়ে আজকের মত এতটা সহজ ছিলনা, নতুন ট্রেন্ডে ফ্যাশন প্রেমীদের উদ্ধুদ্ধ করতে হয়েছে বছরের পর বছর।
দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বিশ্বরঙ সৃষ্টিশীল ভাবনায় বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে পোশাকে তুলে ধরেছে সুনিপুন শৈলীতে। সেই ধারাবাহিকতায় বিশ্বরঙ “দুর্গাপূজা ২০২৩” এর পোশাক অলংকরনের অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছে দুর্গা প্রতিমার প্রতিকৃতি, প্রকৃতির নান্দনিক রূপের গ্রাফিক্যাল জ্যামিতিক ফর্মের সমন্বয়ে দুর্গা মোটিফ, মন্ত্র ইত্যাদি। এছাড়াও বিশ্বরঙ আয়োজিত “আমার মা আমার দুর্গা” শীর্ষক শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের ছবি, ড্রইং বিভিন্ন শৌলিতে উপস্থাপন করা হয়েছে শাড়ী, পাঞ্জাবী, ধুতি, থ্রিপিস, ফতুয়া, শার্ট ইত্যাদির মলিন সার্ফেসে। পোশাকের প্যাটার্নে এসেছে ভিন্নতা। বরাবরের মত মনমাতানো সব বাহারী ডিজাইনের কালেকশনই থাকছে বিশ্বরঙ এর “দুর্গাপূজা ২০২৩” সংকলনে।
“দুর্গাপূজা ২০২৩” সংকলনে গরমের কথা মাথায় রেখে ব্যবহার করা হয়েছে স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার উপযোগী আরামদায়ক সুতি, লিলেন, ভিসকস, ভয়েল, শ্যামলে কাপড়। আর আভিজাত্য তুলে ধরতে জয়সিল্ক, ডুপিয়ান, হাফ সিল্ক, জর্জেট, সিফন সহ ভিন্ন ভিন্ন বাহারি কাপড়তো থাকছেই। পোশাক গুলোতে উৎসবের আমেজ ফুটিয়ে তুলতে উজ্জল রং এর ব্যবহার করা হয়েছে, পাশাপাশি কাজের মাধ্যম হিসাবে এসেছে চুনরি, টাই-ডাই, ব্লক, বাটিক, কারচুপি, অ্যাপলিক, কাটওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রিন্ট ইত্যাদি।
১ অক্টোবর ২০২২ থেকে পূজার দশমীর দিন পর্যন্ত ‘বিশ্বরঙ’ এর সকল শোরুম এবং অনলাইনে দুর্গাপূজা ২০২২ সংকলনের পোশাক প্রদর্শনী চলবে।
Leave a Reply