1. masudkhan89@yahoo.com : Ghoshana Desk :
  2. zunayedafif18@gmail.com : Mahir Al Mahbub : Mahir Al Mahbub
  3. masudkhan89@gmail.com : Masud Khan : Masud Khan
শহীদ মিনারে অধ্যাপক পান্না কায়সারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা - দৈনিক ঘোষণা
ব্রেকিং নিউজ :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম যাবে চীনের বাজারে, খুশি চাষিরা নওগাঁয় ১৭১৯ কেজি সরকারি চাল জব্দ অবৈধ অভিবাসন রোধ ও পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নওগাঁয় সড়ক দূর্ঘটনায় দু’জন শিক্ষার্থী’র মৃত্যু পীরগঞ্জে রাস্তা সংস্কার কাজের ঠিকাদারী পেলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী পলাতক আ’লীগ নেতা! কেসিসির নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে মঞ্জুর করা মামলার শুনানি ৪ মে। বাবা-মেয়েকে অপহরণ করে নির্যাতনের দায়ে চাচা-ভাতিজার বিরুদ্ধে মামলা, প্রাণনাশের হুমকিতে পরিবার পলাশ উপজেলা বিএনপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা না করতে পেরে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। শিশুদের সাথে সব সময় ইতিবাচক আচরন করতে হবে, কেএমপি পুলিশ কমিশনার। গফরগাঁওয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

শহীদ মিনারে অধ্যাপক পান্না কায়সারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

  • আপডেট সময় : রবিবার, ৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ২০০ দেখেছেন
শহীদ মিনারে অধ্যাপক পান্না কায়সারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা (ছবি-বাংলা ট্রিবিউন)

নিউজ ডেস্ক

লেখক, শিশু সংগঠক, শহীদজায়া পান্না কায়সারের মৃত্যুতে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় পান্না কায়সারের মরদেহ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়।

এ সময় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে পান্না কায়সারের প্রতি স্মৃতিচারণ করেন তারা। শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হলে সেখানে প্রথমে শ্রদ্ধা জানায় তার তৈরি শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’। কেন্দ্রীয় খেলাঘরের পক্ষে স্যালুট জানিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মরদেহে খেলাঘরের পতাকা দিয়ে আবৃত করা হয়। এরপর খেলাঘরের বিভিন্ন শাখা শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে একে একে গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক কমিটি, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ঢাকা থিয়েটার, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সংস্কৃতি মঞ্চ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, ছায়ানট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, প্রজন্ম একাত্তরসহ আরও অনেক সংগঠন ও ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন মহলের গুণীজনরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য এবং দেশকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তার স্বপ্নের সেই দেশ গড়ে তোলার জন্য আমরা, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কাজ করে যাবে।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজীবন সংগ্রামী লেখক ও গবেষক পান্না কায়সার ১৯৭৫ সালের পর হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করেছেন, তার প্রয়াণ বাঙালির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

মন্ত্রী বলেন, পান্না কায়সার সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। সংসার পাতার দুই বছরের মাথায় স্বামীকে হারিয়েছেন, তারপর তিনি আর নতুন করে সংসার পাতেন নাই। সন্তানদের মানুষ করেছেন, কষ্ট করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থেকেছেন।

আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, ‘তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনের এক পুরোধা ব্যক্তিত্ব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার, অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য তিনি কাজ করে গেছেন। আমরা আশা করি তার চাওয়া সেই বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে কাজ করেছেন। তার চলে যাওয়া আমাদের দেশের জন্য, রাজনীতির জন্য, শুদ্ধ সংস্কৃতির জন্য একটি বড় অপূর্ণতা দিয়ে যাবে।’

শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তার মতো একজন অমায়িক ও আদর্শবান মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি আমাদের দেশ, দেশের মানুষকে গড়তে সবসময় কাজ করেছেন।’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়ে তোলা আমাদের একটি বড় দায়িত্ব। পান্না কায়সার সেই দায়িত্ব সারা জীবন সুন্দরভাবে পালন করে গেছেন।’

চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন জীবন্ত ইতিহাস তিনি। বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করে তিনি আজীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের জন্য, স্বাধীনতার জন্য তার ত্যাগ বিশাল। এই ত্যাগ আমরা আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবো। তার জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে তিনি বাংলাদেশকে ধারণ করে গেছেন। একজন মা চলে যাওয়ায় আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তিনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।’

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘১৯৭২ সালে আমরা প্রথম যখন রাজাকারদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন করেছি সেই আন্দোলনে তিনি সামনের সারিতে ছিলেন। তিনি সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দেশ তৈরিতে কাজ করে গেছেন। আজ খেলাঘরের বন্ধুদের বলবো, তোমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দেশ গড়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

একই রকম সংবাদ
© সকল স্বত্ব দৈনিক ঘোষণা অনলাইন ভার্শন কর্তৃক সংরক্ষিত
Site Customized By NewsTech.Com