নিউজ ডেস্ক
২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপিসহ সমমনা ৩৭টি দল। একইদিনে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের ৩ সহযোগী সংগঠন। এদিন সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ার পর বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সবচেয়ে বড় কর্মসূচি আগামীকাল। নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা আসতে পারে। পুলিশ যে স্থানেই অনুমতি দিক মহাসমাবেশকে স্মরণকালের বৃহৎ সমাবেশে রূপ দিতে চাইছে বিএনপি। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র বলছে, এই সমাবেশ হবে বিরোধী দলগুলোর পরবর্তী আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট। এই সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হবে। মহাসমাবেশে কোনো ধরনের বাধা আসলে পরবর্র্তী কর্মসূচিতেও বড় পরিবর্তন আসতে পারে। এসব কারণে বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশ নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। কেমন হবে এ দিনের মহাসমাবেশ। কী ঘোষণা আসছে। কেমন হবে বিরোধীদের পরবর্তী কর্মসূচি এমন নানা প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মাঝেও।
সমাবেশ সফল করতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক ভিডিও বার্তায় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ছাড়া দলের নেতারা সমাবেশ সফল করতে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। সমাবেশে অংশ নিতে নেতাকর্মীদের কেউ কেউ ইতিমধ্যে ঢাকায় চলে এসেছেন।
দলীয় সূত্র বলছে, সমাবেশ থেকে সরকারকে একটি নির্ধারিত সময়ের আল্টিমেটামও দেয়া হতে পারে। এই আল্টিমেটামের সময় শেষ হলে লাগাতার কর্মসূচিও আসতে পারে। যদিও মহাসমাবেশ থেকে কী ঘোষণা আসবে তা চূড়ান্ত হয়নি। সমাবেশের দিনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার আগে বিএনপি’র নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের বৈঠক হবে আজ।
এদিকে গতকাল সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে শীর্ষ নেতাদের মতামত নেয় দলটি। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে চায় দলগুলো। তবে কোনো প্রকার বাধা কিংবা হামলা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে। সমমনা দলগুলোর দু’জন শীর্ষ নেতা জানান, হুটহাট কোনো সিদ্ধান্তে যাবে না দলগুলো। সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে মহাসমাবেশে উপস্থিতির উপর ভিত্তি করেই কর্মসূচি দেবে বিএনপি। সরকারকে স্বল্প সময়ের জন্য আল্টিমেটাম দেয়া হবে। এরমধ্যে সরকার পদত্যাগ না করলে আগামী আগস্ট মাসে লাগাতার কর্মসূচি পালিত হবে। সেক্ষেত্রে অবরোধ কিংবা ঘেরাও কর্মসূচির মতো কর্মসূচি আসতে পারে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হক জানান, বিএনপি’র মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের জনসমাগম ঘটবে। শুধু ঢাকা মহানগরেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে জনসমুদ্রে পরিণত হবে মহাসমাবেশ।
এদিকে বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিও প্রায় একই। তারাও বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ২৮শে জুলাই সব মহানগরে মিছিল, ৩০শে জুলাই জেলা শহরগুলোতে মিছিল এবং আগামী ১লা আগস্ট ঢাকায় সমাবেশ করবে দলটি।
Leave a Reply